পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা
৭১৫

করেন। তখন এখানি সাপ্তাহিক ছিল। উত্তরকালে ইহার স্বত্ব বিক্রয় করেন এবং ইহা সৈনিক পত্রে পরিণত হয়। কিন্তু সম্পাদন ভার ইঁহার হস্তে বরাবরই ন্যাস্ত আছে। সিভিল সারভিস পরীক্ষা দিবার বয়স ২১ হইতে ১৯ বৎসরে কমান হইলে সুরেন্দ্রনাথ ভারতে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত করেন ও ভারতের নানা প্রদেশে বক্তৃতাদি করিয়া লোক-মত গঠন করেন। লর্ড লিটনের সংবাদপত্র-আইনের বিরুদ্ধেও অনেক সভাসমিতি আহূত করেন। ইনি চিরকালই নিয়মাধীন আন্দোলনের পক্ষপাতী এবং ইংরাজ জাতির ন্যায়পরায়ণতায় আস্থাবান। ইঁহার ধারণা এই যে, দেশের অভিৰোগ ও অভাৰ ইংরাজাতির সমক্ষে ধীরভাবে জানাইলে, আজই হউক বা কিছুদিন পরেই হউক, তাঁহারা তাহার প্রতিকার করিবেন। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে কলিকাতা মিউনিসিপাল সভার সদস্য রূপে প্রবেশ করিয়া ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে ১৭ জন সদস্যের সহিত উহার সংশ্রব ত্যাগ করেন। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে ইনি উক্ত সভার প্রতিনিধিস্বরূপ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশ করেন এবং ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে যখন নূতন মিউনিসিপাল আইনের পাণ্ডুলিপি ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থাপিত করা হয়, তখন ইনি তাহার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে একখানি বাঙ্গালা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় যে, হাইকোর্টের জজ নরিস্ সাহেব জবরদস্তি করিয়া শালগ্রাম শিলা আদালতে লইয়া যান। এই সংবাদ অবলম্বনে বেঙ্গলিপত্রে ইনি জজ সাহেবের আচরণ সম্বন্ধে কঠোর মন্তব্য প্রকাশিত করেন। ইহার ফলে আদালত অবজ্ঞা করার অপরাধে ইনি অভিযুক্ত হইয়া হাইকোর্টের ফুলবেঞ্চের বিচারাধীনে আসেন। প্রকৃত ঘটনা এই যে, নরিস সাহেব বাদী প্রতিবাদী উভয়েরই সম্মতিক্রমে শালগ্রাম