পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
বিদ্যাসাগর।

 “তখন হিন্দু কলেজেব ছাত্রেরা মনে করিতেন যে, মদ্যপান করা সভ্যতার চিহ্ন, উহাতে দোষ নাই। * * তাঁহারা কথনই পানাসক্ত হইতেন না, যদ্যপি তাহা সভ্যতার চিহ্ন মনে না করিতেন। আমাদিগের বাসা তখন পটলডাঙ্গায় ছিল। আমি * *  *  *  প্রভৃতির সহিত কলেজের গোলদীঘিতে মদ খাইতাম এবং এখন যেখানে সেনেট হাউস হইয়াছে, সেখানে কতকগুলি শিক কাবাবের দোকান ছিল, তথ। হইতে গোলদীঘিব বেল টপকাইয়া, ফটক দিয়া বাহির হইবার বিলম্ব সহিত না, উক্ত কাবাব কিনিয়া আনিয়া আমরা আহার করিতাম। আমি ও আমার সহচরেরা এইরূপ মাংস ও জলস্পর্শশুন্য ব্রাণ্ডি খাওয়া সভ্যতা ও সমাজ-সংস্কারের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শক কার্য্য মনে করিতাম। একদা আমি গোলদীঘিতে মদ খাইয়। টুপভূজঙ্গ হইয়া রাত্রিতে বাটীতে আসিলে, মাতাঠাকুরাণী অতিশয় বিরক্ত হইয় বলেন,—“আমি আর কলিকাতার বাসায় থাকিব না, বোড়ালে গিয়া থাকিব।” পিতাঠাকুর আমার আচরণের বিষয় অবগত হই। আমাকে পরিমিত ম্যপায়ী করিবার জন্য একটা কৌশল অবলম্বন করিলেন। * * সেকালে মুন্সি আমীর আলী সদর দেওয়ানী আদালতে একজন প্রধান উকীল ছিলেন। * * পিতাঠাকুরের সহিত মুন্সি আমীর আলীর অন্তরিক বন্ধুতা জন্মিায়াছিল। মুন্সি সাহেব আমার পিতাঠাকুরকে রাজদার দোস্ত' বলিতেন। যে বন্ধুকে গোপনীয় কথা বলা যাইতে পারে, পার্শিতে তাহাকে রাজদার দোস্ত বলে। প্রতিদিন মুন্সি আমীর আলীর বাটী হইতে আমাদিগের বাসায় একটী টিনের বাক্স অসিত। আমি মনে করিতাম যে, মুন্সি আমীর আলী পিতাঠাকুরকে তরজমার