পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ব্যাকরণ-শিক্ষা।
৫৯

তাঁহার ভবিষ্যৎ কার্যাবলি হইতে যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যাইবে।

 ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের ব্যাকরণ শ্রেণীর তৃতীয় বিভাগে ভর্ত্তি হইয়া সন্ধিসুত্র পাঠ করেন।

 সংস্কৃত ব্যাকরণ-শিক্ষা, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার সম্পূর্ণ সাহায্যকারিণী। এই জন্য ভারতে চিরকাল সংস্কৃতশিক্ষার্থীদিগকে সর্ব্বাগ্রে কয়েক বৎসর ধরিয়া ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিয়া কণ্ঠস্থ করিতে হয। মুগ্ধবোধ, পাণিনি, সংক্ষিপ্তসার, কলাপ প্রভৃতিবাকরণ পাঠ্য॥ এই সব ব্যাকরণ সহজে আয়ক্ত করিবাব জন্য অনেকে সক্ষিপ্ত সারের “কড়চা” অভ্যাস করিয়া থাকেন।

 ব্যাকরণ শিক্ষার অনুপাতে সংস্কৃত শিক্ষার ব্যুৎপত্তি বিকাশ। সংস্কৃত ব্যাকরণে ব্যুৎপত্তি লাভ করিলে, সংস্কৃত শিক্ষা যেরূপ তলস্পর্শিনী হইয়া থাকে, অধুনা উপক্রমণিকা, কৌমুদী পড়িয়া সেরূপ হয় না। টোলে ব্যাকরণ শিক্ষার যে প্রথা প্রচলিত, প্রথমতঃ সংস্কৃত কলেজে সেই প্রথা প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল। পরে এ প্রথার কিরূপ পরিবর্তন ঘটিয়াছিল, পাঠক পরে তাহা বুঝিতে পরিবেন।

 ঈশ্বরচন্দ্র যখন ব্যাকরণ শ্রেণীতে ভর্ত্তি হন, তখন কুমারহট্টনিবাসী পণ্ডিতপ্রবর গঙ্গাধর তর্কবাগীশ মহাশয় ব্যাকরণের অধ্যাপক ছিলেন। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাকালে অধ্যাপক উইলসন সাহেব বঙ্গের কৃতবিদ্য বিচক্ষণ পণ্ডিতগণকে নির্ব্বাচিত করিয়া কলেজের অধ্যাপনাকার্য্যে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। নিম্নলিখিত অধ্যাপক নিম্নলিখিত বিষযে অধ্যাপনাকার্য্যে ব্রতী হইযছিলেন,— নিমচাঁদ শিরোমণি —দর্শন, শম্ভুচন্দ্র বাচপতি,—বেদান্ত; রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ,—স্মৃতি; ক্ষুদিরাম বিশারদ,—আয়ুর্ব্বেদ, নাথু-