পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
.৭০
বিদ্যাসাগর।

তিনি পুস্তক লইয়া পাঠ করিতেন। তিনি ভবিষ্যৎ জীবনে একজন যশস্বী চিকিৎসক বলিয়া পরিচিত হন। বাল্যে বা যৌবনে কঠোরতার সঙ্গে সংগ্রাম করিয়া ভবিষ্যৎ জীবনে কোন বিষয়ে কীর্ত্তিমান হইয়াছেন, এমন দৃষ্টান্ত অনেক পাওয়া যায়। দারিদ্র্যের কঠোরতীয় ভবিষ্যৎ জীবনোন্নতির বীজ উপ্ত হয়। দারিদ্র্যের নির্ম্মমতায় অসাধারণ চরিত্র, শক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তি প্রস্ফুটিত হইয়া উঠে। কঠোরতার উত্তেজিকা শক্তি দরিদ্রের শিরায় শিরায় শোণিত-প্রবাহে যেন বিদ্যুৎ ছুটায় এবং দারিদ্র্যের আলিঙ্গনে প্রীতি ও প্রফুল্পতা, অধ্যবসায় ও আত্মসংযম সহজসিদ্ধ হইয়া থাকে। এই জন্য রিচার বলিয়াছেন,—“এস, দরিদ্র্য এস; তোমায় আলিঙ্গন করি; জীবনে যেন বিলম্ব করিয়া আসিও না।”

 স্পেনের কবি সারবেস্তিসের দারিদ্র্যের কথায় একজন বলিয়াছেন,—

“ইহার দারিদ্র্যে পৃথিবী ধনশালিনী।” অর্থাৎ তাঁহার গ্রন্থে জগৎ উপকৃত।

 সত্যসত্যই তো বুদ্ধিজীবী শক্তিশালী ব্যক্তি দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করিয়া যে শক্তি ও ক্ষমতা সঞ্চয় করেন, আত্মীয়-পরিজনপরিবৃত অতুল ধনের উপর অধিষ্ঠিত ব্যক্তি অনেক সময় তাহা পারে না। কার্লাইল সাধে কি বলিয়াছেন,—

 “যাহাকে দুঃখদারিদ্র্যের সহিত যুঝিতে হয় নাই; যিনি ঘরে বসিয়া সর্ব্ব সম্পদের প্রহরী বেষ্টিত হইয়া নিশ্চিন্তু থাকেন, তাঁহার অপেক্ষা যিনি দুঃখ দারিদ্রের কঠোর সমরে জয়ী হন, দেখিবে