পাতা:বিদ্যাসাগর - প্রচার পুস্তিকা (১৯৫০).pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বেঁচে থাকুক বিদ্যাসাগর
চিরজীবী হয়ে।
সদরে কোরেছে রিপোর্ট
বিধবাদের হবে বিয়ে।
কবে হবে শুভদিন, প্রকাশিবে এ আইন—
দেশে দেশে জেলায় জেলায় বেরবে হুকুম,
বিধবা রমণীর বিয়ের লেগে যাবে ধুম।
মনের সুখে থাকবো মোরা
মনোমত পতি লয়ে॥
এমন দিন কবে হবে, বৈধব্য-যন্ত্রণা যাবে,
আভরণ পরির সবে, লোকে দেখবে তাই—
আলো-চাল কাঁচ-কলার মুখে নিয়ে ছাই,
এয়ো হয়ে যাবো সবে
বরণ ডালা মাথায় লয়ে।

—অজ্ঞাত

নাটীর ঘরে আজ নেমেছে চাঁদ রে
—আজ নেমেছে চাঁদ।
বলি ও চকোরি, চোখ মেলে দেখ—
মিটুক মনের সাধ রে, মিটুক মনের সাধ।
কেন ঘোমটা দিয়ে মুখ লুকালি,
এলে যে তোর বর;
ওয়ে বাঁকা ভুরুর ধনুর টানে ছড়ায় ফুলশর।
যেন পালিয়ে না যায় চরণ দুটি
পরাণ দিয়ে বাঁধ রে, পরাণ দিয়ে বাঁধ।
রসিক ভ্রমর তুমি হে বর, তুমি রসিক বঁধু,
ফুলেরে তুষিয়া আগে পরে খেয়ো মধু।
সিঁথায় দিও সোহাগ-সিঁদুর, চরণ-ধুলি মাথে,
চাঁদ-মুখে তাম্বুল দিও—শঙ্খবালা হাতে;
আর হৃদয় দিয়া হয় ধরো
পেতে প্রেমের ফাঁদ রে, পেতে প্রেমের ফাঁদ।
—শৈলেন রায়

“বাংলা দেশের দেশী মানুষ! বিদ্যাসাগর বীর!
বীরসিংহের সিংহ শিশু! বীর্য্যে সুগম্ভীর!”—সত্যেন্দ্র দত্ত

“বাংলা সাহিত্যের উদয়গিরি শিখরে একদা যে জ্যোতিষ্মানের আবির্ভাব
ঘটেছিল, আজ অস্ত দিগন্তের শেষপ্রান্ত থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে আমি আমার
সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে যাচ্ছি!”—রবীন্দ্রনাথ