ভূমিকা । $ সে রসের মধ্যে প্রবেশ করিতে ন পারিলে রসাস্বাদন হয় না। সকলেই তু জানেন সর্গে উঠিতে হইলে দুৰ্গম সিঁড়ি ভাঙ্গিতে হয়, নতুবা স্বর্গে যাওয়া যায় না। . কবিরঞ্জনের কাব্যস্বর্গে যাইতেও সেইরূপ কিছু কষ্টভেড়া আছে । কাজেই সহজে লোকে সে কষ্ট •স্বীকার করে না । কবিরঞ্জন বিদ। সুন্দরে যে ধসের প্রাধান্য আছে, তাহ। সাধারণ কাব্যরস হইতে কিছু স্বতন্ত্র। আজ কাল লোকে যাহাকে কাব্য বলে, তাহাতে ভক্তি, করুণ, ধৰ্ম্মভাবের সমাবেশ থাকে না । থাকিলেও তাহ সাধারণ পাঠকের নিকট আদৃত হয় না । বোধ হয় এই কারণেই প্রাচীন অলঙ্কারবেত্তাগণ ভক্তিরসকে কাব্যরসের সহিত গণনা করেন নাই। কিন্তু প্রকৃত কাব্যে ভক্তিরসের সমাবেশ থাকে ; ধৰ্ম্মের, সত্যের, জ্ঞানের নিগূঢ় তত্বের আলোচনা পাকে । *প্রকৃত কাব্য কাহাকে বলে, তাহ। ভারতচন্দ্রের কাব্য সমালোচনায় দেথান হইয়াছে। সুতরাং এস্থলে তাহার পুনরুল্লেখ নম্প্রয়োজন । তবে সাধারণ লোক কাব্য বণিণে যাই। বুঝে তাহ স্বতন্ত্র । কথাটা একটু ভাল করিয়া বুঝা আবশুক । সাধারণ লোকের কাছে ধৰ্ম্মের কথা—জ্ঞানের কথা বড় কটু বোধ হয়—সকলে সে রস আস্বাদনে মুখ পায় না। যে সকল বাহ বিষয়ু আমাদের প্রত্যক্ষ সিদ্ধ হয়, যাহা দেখিয়া বা শুনিয়। আমরা আমোদ পাই—-কাব্যে তাঁহারই বর্ণনা পাইলে আমর। মুখ বোধ করি । অতীন্দ্রয় বিষয়ের আলোচন। অামাদের নিকট ভাল লাগে না । কাব্য বাহপ্রকৃতির দপণ স্বরূপ হইলেই তাছাতে আমর। মোহিত হই । কাব্যে আমাদের ন্যায় লোকের চরিত্র চিত্র, সাধারণ মনোবৃত্তির ক্রয়া, সাধারণ লোকের কার্য্য-প্রণালী চিত্রিত থাকলে, তাহাকেই আমরা প্রকৃত কাব্য বলি । নতুবা অমানুষ চরিত্র, অলৌকিক ঘটনা, অতীন্দ্রিয় বিষয়ের সমাবেশে কাব্যের সৌন্দৰ্য্য নষ্ট হয়, এই আমাদের ধারণা। আমরা বড় স্থলদশী, বাহজগতের আকর্ষণ হইতে মনকে টানিয়া লইতে পারি না। তাই কাব্যেও বাহ
影 褒
.