ভূমিকা । సి হইত ও গায়কদের দ্বারাই তাহ সাধারণে প্রচারিত হইত। তাহারাই এই সকল পুথি নকল করিয়া অভ্যাস করিত, নতুবা ইচ্ছা করিয়া শুধু পড়িবার জন্য, পুথি অনুসন্ধান করিয়া সাধারণ লোকে তাহ বড় একটা নকল করিয়া লইত না। তখন ত লোকে স্বর করিয়া গানের ধরণে পড়া ব্যতীত, সহজ ভাবে পদ্য পড়াই জানিত না। কাজেই যে কাব্য গীত হইত না, তাহ। একেবারে অপ্রচলিত হইয়া পড়িত । চণ্ডী বল, ধৰ্ম্মমঙ্গল বল, মনসামঙ্গল বল, শিবায়ণ বল, অন্নদামঙ্গল বল, সকলই এইরূপ গায়কদের দ্বারা গীত হইত বলিয়াই সেগুলি আজিও প্রচলিত অাছে। এই জন্ত যে ষে স্থানে যাহা গীত হয়, সেই সেই দেশেই তাহ পাওয়া যায়। মেদিনীপুরেই কেবল শিবায়ণ গীত হয়, বীরভূম প্রভৃতি অঞ্চলে ধৰ্ম্মমঙ্গল গীত হয় ; এই জন্ত সেই সেই দেশ ছাড়া অন্ত দেশের লোক সে সকল মহাকাব্যের নাম পৰ্য্যস্ত জনিত না । কবিরঞ্জনের বিদ্যাসুন্দরও গীত হইবার জন্ত লিখিত হয়। কবি এক স্থলে বলিয়াছেন, “যে গাহায়, যে বা গায় তাহার মঙ্গল।” কিন্তু দুঃখের বিষয়, কবিরঞ্জনের বিদ্যাসুন্দর বা র্তাহার সমস্ত পালা বোধ হয় কখন গীত হয় নাই। এই জন্য তাহ সাধারণে প্রচারিত হইতে পায় নাই । কেন গীত হয় নাই তাছ। বলিতেছি । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র যখন কবিরঞ্জনকে বিদ্যামুন্দরাদি লিখিতে বলেন— তখন, যতদুর বুঝা যায়—ভারতের সহিত র্তাহার পরিচয় হয় নাই। তাহার বোধ হয় দুই তিন বৎসর পরে ভারত র্তাহার সভাসদ হইলেন । সেই শ্বৎসরেই তিনি ভারতকে অষ্টমঙ্গলা অন্নদামঙ্গল রচনা করিতে বলেন। বোধ হয় কবিরঞ্জনের মহাকাব্য ভারতকে দেখাইয়া, তদনুরূপ আর একখানি মহাকাব্য রচনা কবিতে র্তাহাকে আদেশ করেন । ভারতের কাব্য উৎক্লষ্ট হুইয়াছিল বলিয়াই হউক, অথবা সংসার-বিরাগী কবিরঞ্জন তাহার নিকটে ছিলেন ন। বলিয়াই হউক, অথবা ভয়তের মহাকাব্যে তাহার ইষ্টদেবী অন্নপুণার মাহাত্মা বর্ণিত হইয়াছিল বলিয়াই হউক, মহারাজ
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।