2డి ভুমিকা । ভারতের অন্নদামঙ্গলই গান করাহুতে আরম্ভ করেন। সুতরাং তাহার নিকট কবিঞ্চন অষ্টমঙ্গল ও তৎসহ বিদ্যাসুন্দর বোধ হয় অযত্নে রক্ষিত ছিল। তাই তাহা ক্রমে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। হয়ত কোন গুণওiাই ব্যক্তি তন্মধ্যে কেবল বিদ্যামুন্দরই নকল করিয়া লইয়াছিলেন, তাই কেবল তাহার বিদ্যাসুন্দরই রক্ষিত হইয়াছিল । o কিন্তু কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দর যে রূপেই রক্ষিত হউক, তাই এক্ষণে বড় দুষ্প্রাপ্য হইয়া পড়িয়াছে । বিদ্যাসুন্দর পুথি এক্ষণে আর পওয়া যায় না। প্রায় ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে কবিরঞ্জন কাব্যসংগ্ৰহ নামে একখানি মুদ্রিত পুস্তকে,রামপ্রসাদের অন্যান্য কাব্যের সহিত এই বিদ্যাসুন্দর প্রথম প্রকাশিত হয়। কিন্তু সাধারণের উৎসাহ অভাবেই হউক—আর যে জন্তই হউক, তাহা আর পুনর্মুদ্রিত হয় নাই—মুতরাং তাহাও এক্ষণে দুপ্রাপ্য হইয়াছে। সম্প্রতি আর একখানি কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দর প্রকাশিত হইয়াছে। কিন্তু তাহাও সাধারণে আদৃত হয় নাই । বোধ হয় সাধারণ লোকে কবিরঞ্জন বিদ্যামুন্দরের অনেক স্থল বুঝিতে পারে না বলিয়াই, তাহার। এরূপ উৎকৃষ্ট কাব্যের এত অনাদর করিয়াছে। এখন কথা হইতেছে, যাহা কালের স্রোতে ভাসিয়া গিয়াছে —অথবা ভাসিয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছে, তাহাকে কি আবার ফিরাইয়া আনা সম্ভব ? ষে কাব্য কালের ভীষণ অগ্নি পরীক্ষায় পরীক্ষিত হইয়। শেষে অমরত্ব লাভ করিয়াছে— তাহাই সাহিত্য জগতে চিরকাল সাদরে রক্ষিত হইবে। নতুবা যে কাব্য কালের দারুণ নিষ্পেষণে একেবারে দলিত হইবার উপক্রম হইয়াছে, তাহাকে পুনরুদ্ধার করিবার প্রয়োজন কি ? ইহার উত্তরে কবিরঞ্জন-কাব্য-সংগ্রহকার বলিয়াছেন, “ইহা একটি সাধারণ নিয়ম যে, কোন জাতির রীতি, নীতি, আচার, ব্যবহার, রুচি ও ধৰ্ম্মভাব প্রভৃতি যখন ষে ভাব প্রবদ্ধিত হয়, তখন সেই গুলি সেই জাতীয় লব্ধপ্রতিষ্ঠ কাব্যাদিতে প্রায় ঠিক সেই ভাবেই প্রস্থ ীিত হইয়া থাকে। সুতরাং
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।