ভূমিকা । ృ3 গতি ন্যায়রত্ন মহাশয় অনেক অনুসন্ধান করিয়া যাহা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন তাহাই-এস্থলে উদ্ধৃত হইল । • “বিদ্যাম্বরের উপাখ্যান রাম প্রসাদের স্বকপোল-কল্পিত নহে। অনেকের বিশ্বাস এই যে, বররুচিকৃত এক খানি প্রাচীন পুস্তক আছে । বিদ্যাম্বন্দরের উপাখ্যান তাহতে বর্ণিত আছে । অtমরা অনেক অনুসন্ধান করিয়াও সে পুস্তক পাইলাম না। জিলা যশোহরের অন্তঃপাতি বাগের হাটের স্কুলের শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত বাবু পঞ্চানন ঘোষ মহাশয় অনুগ্রহ পূর্বক স্বন্দর কাব্য নামে দ্বাদশ সর্গে বিভক্ত একখানি সংস্কৃত বিদ্যাসুন্দর আমাদিগের নিকট প্রেরণ করিয়াছেন । তাহ বররুচিকৃত প্রাচীন গ্রন্থ নহে । একজন আধুনিক বঙ্গদেশীয় কবির বিরচিত । এ গ্রন্থে কবিত্ব শক্তির পরিচয় বিলক্ষণ আছে, কিন্তু উপাখ্যানাংশে তত বৈচিত্র্য নাই –ত জন্য উছ রাম প্রসাদ বা ভারতচন্দ্রের গ্রন্থ দেখিয়া রচিত হইয়াছে –এরূপ অনুমান করা যায় না। যেহেতু তাহা হইলে উছাদের গ্রন্থে উপাখ্যানাংশে যে সকল বৈচিত্র্য আছে তাহ। তিনি কখন ছাড়িতেন না । বরং এরূপও কতক বোধ হয় যে, রাম প্রসাদ ঐ গ্রন্থ বা ঐ রূপ কোন গ্রন্থ দেখিয়াই কবিরঞ্জন বিদ্যামন্দব রচনা করিয়াছিলেন ; কারণ ঐ উভয় পুস্তকের অনেক অংশে ঐ ক্য আছে । স্থল কথা এই খে, উক্ত গ্রন্থ-বণিত উপাখ্যানের সহিত বিদ্যাসুন্দরের চলিত উভয়বিধ উপাখ্যানেরই বৈ লক্ষণ নাই। তবে হীরার স্থলে বিমলা, গঙ্গারামের স্থলে মাধব, বাঘাইয়ের স্থলে রাঘব ইত্যাদি কয়েকটি নামঘটিত যাহ। বৈলক্ষণ্য আছে, তাহ ধৰ্ত্তব্যের মধ্যেই নহে । কিন্তু চোরধরা প্রকরণে কবিরঞ্জন ও গুণাকরের যে দুইরূপ কৌশল আছে, উহাতে তাহার কোন রূপই নাই । স্বন্দর ও বিদ্যার পরিচয়দান স্থলে ও বিচার সময়ে উক্ত দুই বিদ্যামন্দরেই যে সংস্কৃতশ্লোক গুলি উদ্ধৃত হইয়াছে - উহাতে সে শ্লোক গুলি নাই। কিন্তু সে স্থলে অপরবিধ শ্লোক রচিত হইয়াছে। চোরপঞ্চtণং নামক শ্লোকের একটাও উহাতে নাই- তবে ২ ৪টী কবিতায় চোরপঞ্চাশদ্বর্ণিত কোন কোন
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।