S8 ভূমিকা । শ্লোকের ভাব লক্ষিত হয় এইমাত্র। ফলতঃ উক্ত সংস্কৃত বিদ্যাসুন্দর হইতে ভাষা দুই খানিই বিদ্যাসুন্দর রচিত হইয়াছে— কি ভাষা বিদ্যাসুন্দরের অন্যতরকে অবলম্বন করিয়া ঐ “সুন্দর কাব্য” রচিত, তাহার কোন স্পষ্টপ্রমাণ পাওয়া যায় না । ংস্কৃত বিদ্যমুন্দরের আরও একখানি হস্তলিখিত প্রাচীন পুস্তক আমরা পাইয়াছি এখানি অতি ক্ষুদ্র, ইহাতে কোন পৰ্ব্বতে অবস্থিত রাজকন্য। বিদ্যার সহিত সুন্দরের উক্তি প্রত্যুক্তি, উভয়ের গোপনে সমাগম বিহার ও রাজসমীপে তাহা প্রকাশিত হওয়ায় সুন্দরের প্রতি দণ্ডদানোদ্যম পর্য্যস্ত ৫৬টা শ্লোকে বর্ণিত আছে । বৰ্দ্ধমান বীরসিংহ প্রভৃতির কোন কথা নাই। এ পুস্তকের গ্রন্থকারের নাম নাই, কিন্তু ইহা বররুচি প্রণীত সেই পুস্তক কি ন—তদ্বিষয়ে আমাদের ংশয আছে । বাহ হউক রচনাদৃষ্ঠে এথানিকে আধুনিক বলিয়া বোধ হয় না। সুন্দরের পরিচয় ও বিচার স্থলে পূৰ্ব্বোক্ত দুই ভাষাপুস্তকেই যে সংস্কৃত শ্লোকগুলি উদ্ধত হইয়াছে, ইহাতেও সেগুলি এবং সেইরূপ আরও কতকগুলি আছে-- সুতরাং ঐ শ্লোকগুলি ভাষাপুস্তকরচয়িতার যে কাহারও নিজের রচিত নহে তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । ইহা ব্যতীত আমরা “বররুচিবিরচিতং সংস্কৃত বিদ্যাসুন্দরম্ ” নামে একখানি মুদ্রিত পুস্তক প্রাপ্ত হইলাম। উহা অামাদিগের উল্লিখ্যমান এই গ্রন্থেরই প্রায় অবিকল । কেবল উহাতে চোরপঞ্চাশৎট অধিক আছে । আমাদের নিকটস্থিত হস্তলিখিত চোরপঞ্চাশতের শ্লোকগুলি একেবারে নাই। ফল কথা সমুদয় দেখিয়া শুনিয়া আমাদের বিলক্ষণ প্রতীতি হইয়াছে - ষে বিদ্যাসুন্দরের উপাখ্যান রামপ্রসাদ বা ভারতচন্দ্র কাহারই স্বকপোলকল্পিত নহে । অবশুই উহার কোন প্রাচীন মূল ছিল। কিন্তু সেই মূলখানি কোন গ্রন্থ—তাহ স্থির বলিতে পারা যায় না। অনেকে কহিয়া থাকেন যে, রামপ্রসাদের পূৰ্ব্বেও প্রাণরামচক্রবত্তী নামে এক কবি বররুচি প্রণীত প্রাচীন গ্রন্থ অবলম্বন করিয়৷ কালিকামঙ্গল নামে এক কাব্য রচনা করিয়া
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।