>や ভূমিকা । রত্ন মহাশয় লিখিয়াছেন “ কিন্তু যেরূপ শুনা যায়, তাঁহাতে বোধ হয় বিদ্যাসুন্দরের কাও উজ্জয়িনী নগরে “ সজঘটুিত হইয়াছিল বলিয়া বররুচি কর্তৃক বর্ণিত আছে । পুৰ্ব্বোক্ত * সংস্কৃত “ সুন্দর কাব্য ’ রচয়িত যে কেহই হউক না কেন, বোধ হয় প্রথমে উহাকে দূর দেশ হইতে আপন দেশ বদ্ধমানে ' আনিয়। স্থাপিত করেন। তৎপরে রামপ্রসাদ ও ভারতচন্দ্র দেশের মায়tয় মুগ্ধ হইয়া, ও হার অন্যথা করিতে পারেন নাই, যাহা হউক উক্ত কয়েক খানি ওস্থ রচনার পুৰ্ব্বে বৰ্দ্ধমানে fবদ্যাসুন্দরের উপাখ্যান ও সুড়ঙ্গের কথা প্রচারিত ছিল । তাহা আমাদের বোধ হয় না । এমন কি বোধ হয় ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল রচনার পর হইতেহ লোকে ঐ কল্পিত কাণ্ডের ক্রমে ক্রমে স্থানসমাবেশ করিয়া দিয়াছে। ” সুতরাং স্পষ্টই বুঝা গেল যে, কবিরঞ্জন ও গুণাকরের মধ্যে কেহই কাহার নিকট মুল উপাথ্যান সংগ্রহ করেন নাই । কিন্তু তাহ না হইলেও কোন বিদ্যামুন্দর অগ্রে রচিত— তাহা দেখা কৰ্ত্তব্য । নতুবা আমরা কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দরের কাব্যগত সৌন্দয্যের প্রকৃত বিচার করতে পারিব না। পূৰ্ব্বে কবিগণ র্তাহ সদর কাব্যশেষে ইয়ালি দ্বারা কাব্যBBBB BBB BBBBS gEBBB S DDD BBDD BB BBB কাব্যের রচনা কাল নিণয় হইত। ভারত অন্নদামঙ্গলের শেষে বলিয়াছেন,
- বেদ লয়ে ঋষি রসে ব্রহ্ম নিরূপিলা । সেই শকে এই গীত ভারত রচিল ॥ ” এই হেঁয়ালী ভঙ্গিলে বুঝা যায় যে, ১৬৭৪ শকে বা ১৭৫১ খৃীঃ অব্দে তাহার অন্নদামঙ্গল রচন। শেষ করেন।
অনেকে বলেন ভারতের বিদ্যাসুন্দর অন্নদামঙ্গল সহিত, একত্র রচিত হয় নাই—তাহ। পরে সন্নিবেশিত হইয়াছিল। কিন্তু কথাটা বিশেষ সঙ্গত হয় না। যদিও বিদ্যাসুন্দর প্রসঙ্গত মানসিংহে উল্লিখিত হইয়াছে—কিন্তু আমরা অন্নদামঙ্গলের সমালোচনায় দেখাইয়াছি যে বিদ্যাম্বন্দর ব্যতীত অন্নদামঙ্গলের