পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*RR. ভূমিকা । ১ । কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দরে যেরূপ অনুপ্রাসের ছটা, শব্দের ঘটা, প্রভৃতি দোষ দেখা যায়, তাহার পদাবলীতে সেরূপ দোষ আদৌ লক্ষিত হয় না, পদাবলী পাঠে দেখা যায় যে তিনি আদৌ ভাষার দিকে, কথার দিকে দৃষ্টি রাখেন নাই – ভাব লইয়াই তিনি ব্যস্ত ছিলেন । ভুাষা-ভাবের পরিচারিকার হ্যায়, সৰ্ব্বদা তাহার অনুবত্তী ছিল । সকলেই জানেন নবীন বয়সেই শব্দ, ভাষা, অনুপ্রাস প্রভৃতির দিকে কবিদিগের মন অধিক আকৃষ্ট হয় । সুতরাং বিদ্যাসুন্দরের যে, কবিরঞ্জনের নবীন বয়সের লেখা ইহা হইতেই তাহ অনুমান করা যায়। ২ । বোধ হয় এই বিদ্যাসুন্দর লিখিবার অতি অল্প কাল পূৰ্ব্বেই তিনি কুবিরঞ্জন উপাধি পাইয়াছিলেন। কেননা “নিশাকালে চরিতার্থ শ্রীরঞ্জন যথা,” প্রভৃতি অনেক স্থলেই ভণিতায় তিনি এই উপাধি ব্যবহার করিয়াছেন । র্তাহার পদাবলীতে কখন ‘প্রসাদ ব্যতীত "রঞ্জন’ বা কবিরঞ্জন ভণিত দেওয়া নাই । ৩ । কবিরঞ্জন পরে সাধনায় সিদ্ধ" হইয়াছিলেন, তাহা র্তাহার পদাবলী পাঠেই বেশ বুঝা যায়। কিন্তু তিনি যখন বিদ্যাসুন্দর লিখেন, তখন র্তাহার সাধন সিদ্ধ হয় নাই-- তথন তিনি নৰীন সাধক ছিলেন মাত্র । বিদ্যাসুন্দরে তিনি কোন কোন স্থলে খেদ করিয়া বলিয়াছেন, “ক্ষীণ পুণ্য দেখি বিড়ম্বন কৈল শিব ।” “আমি কি অধম এত বৈমুখ আমারে ॥” ৪ । কবিরঞ্জর বিদ্যাসুন্দরে অনেক হিন্দী পারসী শব্দ অবিকল সংস্কৃত বিভক্তিযুক্ত কথা ব্যবহার করিয়াছেন। অনেক স্থলে তিনি যুদ্ধ হিন্দিতে বর্ণনা করিয়াছেন। ইহা ব্যতীত তিনি অনেক সংস্কৃত শ্লোকের বাঙ্গালার অনুবাদ করিয়াছেন। বাস্তবিক তাহার বিদ্যাসুন্দর পড়িলেই বেশ বুঝা যায় যে, তিনি, সুন্দরপুত্র পদ্মনাভের যেরূপ