মালঞ্চ বৃত্তান্ত । ( ৩৯ – ৩২ ) শিরসি কমলে...শ্ৰীনাথচ্ছবি-সাধক ঘটুচক্র ভেদ করিয়া মস্তকে সহস্রারে বা সহস্রদল পদ্মে সদাশিব ও ভগবতীকে ধারণা করিয়া থাকেন। প্রসাদের ষটচক্রভেদ গানে আছে,— “আজ্ঞ চক্র করি ভেদ ঘুচা ও ভক্তের খেদ ংসৗরূপে মিল হংসবরে । চারি ছয় দশ বার ষোড়শ দ্বিদল অর দশ শত দল শিরোপরে ॥ শ্রীনাথ বসতি তথা শুনি প্রসাদের কথা যোগী ভাসে আনন্দ সাগরে ।” নাসার ন্ধে, ভ্রাণ—বিলাসের বস্তু উপভোগ করিলেই বিলাসীয় মনে বিলাসভাব উদয় হয়, ইহা অস্বাভাবিক নহে। সীমান্য পুরুষ নহ—কবিরঞ্জন ও ভারত উভয়েই অনেক অলৌকিক ঘটনা বর্ণনা করিয়াছেন । হড়ঙ্গ খনন, ছয় মাসে ছয় দিনের পথ গমন, কালীর দশন দেওয়া প্রভূতি সকলই অদ্ভুত। তবে কবিরঞ্জনে এই অলৌকিক বর্ণনার কিছু ধ্রুবাড়াবাড়া আছে। মায়ানদী স্বষ্টি, শুষ্ক মালঞ্চ পুম্পিত হওয়া, শব সাধন, বিদ্যাসুন্দরের স্বর্গে গমন এগুলি কবিরঞ্জনে আছে কিন্তু ভারতে নাই । সাপরাধি-স্নেহের পাত্রকে গুরুতর লোকে এরূপ বলিলে তাহার অকল্যাণ হয় । محجیم-------------
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/২৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।