२8 ভূমিকা । রের চরিত্রচিত্র পড়িলেই সে সময় কবির চরিত্রের কতক আভাষ পাওয়া যায় । g ৬ । কবি বিদ্যাসুন্দর রচনার সময়, যেমন ভক্ত, যেমন । সঙ্গীতবেত্তা, তেমনি কাব্যপ্রিয়ও ছিলেন । এই কাব্যপ্রিয়তাই র্তাহার নবীন বয়সের পরিচয় । বোধ হয় রদু কুমারাদি পড়িয়। কবির কাব্যস্পৃহা বড়ই বদ্ধিত হইয়াছিল । বাস্তবিক তাহার বিদ্যাসুন্দর পড়িলেই বেশ বুঝা যায় যে, তাহার চিত্তরঞ্জিনা বৃত্তিগুলি অত্যন্ত স্ফৰ্ত্তি পাইয়াছিল। তিনি যে অসাধারণ সঙ্গীত-ভক্ত ছিলেন, তাহ তাহার পদাবলীতেই প্রকাশ । আর তিনি বিদ্যাসুন্দরে স্পষ্টই বলিয়াছেন, “ ন বিদ্য। সঙ্গীত পর।” তিনি বদ্ধমান বর্ণনায় তাহার কাব্যপ্রিয়তারও পরিচয় দিয়াছেন। বদ্ধমানের লোক সম্বন্ধে বলিয়াছেন, “ পরস্পর মুকৌতুক কাব্য ছাড়া একটুক কদাচিত মুখে নাহি ভাষা । ” ৭ । কবির নবীনত্বের আর এক পরিচয় এই -এসময়ে তিনি নিজ বিদ্যা প্রকাশ করিতে বড়ই উৎসুক । তিনি শবসাধন বর্ণনা করিবার পূৰ্ব্বে কিঞ্চিৎ • গৰ্ব্ব করিয়া বলিয়াছেন, “ জ্ঞাত নহি বলে কেহ না করিবে হেল৷ ৷ ” স্বধু তাহাই নহে । ইহার দৃষ্টান্ত স্বরূপ তিনি তন্ত্রসার হইতে * শবসাধন” ব্যাপার অবিকল বাঙ্গাল করিয়া উদ্ধত কবিয়া দিয়াছেন । প্রবীণ বয়স হইলে কবি কখন এরূপ করিতেন না । সুধু বিদ্যা দেখাইবার জন্য যাহা বর্ণনা অকৰ্ত্তব্য এবং শাস্ত্রমতে নিষিদ্ধ তাছ। ব্যতিক্রম তই বে বুঝিয়াও কথন বর্ণনা করিতে পারিতেন না । ইহা ব্যতীত “অরসিক নিকটে রহস্য নিবেদন”, “কালীকিঙ্করের কাব্য কথ। বুঝা ভার” প্রভৃতি স্থানেও এই গৰ্ব্বের পরিচয় দিয়াছেন । ৮। কবি বিদ্যাসুন্দরে তাহার নিজ বংশাবলীর পরিচয় দিয়াছেন । তদনুসারে জানা যায় যে, সে সময়ে তাহার জগদীশ্বরী ও পরমেশ্বরী নামে দুষ্ট কন্যা, এবং রামকু লাল
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।