ভূমিকা । R(t নামে এক পুল হইয়াছিল। এই সময়ে তাহার কন্যাদেব বিবাহ হয় নাই ? তাহ হইলে ভণিতার কোন না কোন স্থানে তাহার জামাতাব • নাম উল্লেগ থাকিত । তাহার ভগিনী ভগিনীপতি ভগিনীসুত প্রভৃতি সকলের জন্যই ভণিতায় প্রার্থনা করিয়াছেন, কেবল তাহার নিজ জামাতার জন্য প্রার্থনা করিতে উপেক্ষা করিবেন ইহ সম্ভব নহে। স্বতরাং বিদ্যাম্বন্দর রচনা কালে তাঙ্কার সন্তানগণ অল্প বয়স্ক ছিল বেশ বুঝা যায় । কবির নবীন বয়সেই এই তিন সন্তান জন্মিয়tছিল সন্দেহ নাই। এই তিন সন্তানের পর তাহার সন্তান হওয়া বন্ধ হয়, এবং শেষে বুদ্ধ বয়সে অার একটা মাত্র সস্তান জন্মে । ( এই বৃদ্ধ বয়সের সন্তান উপলক্ষ করিয়াই আজু গোসাই র্তাহীকে রহস্ত করিয়াছিল, তাহ। তাছার জীবনীতে বলা হইয়াছে । ) সুতরাং বিদ্যাসুন্দরে কবিরঞ্জনের তিনটী সন্তানের নাম থাকায়, তাহ যে র্তাহার নবীন বয়সের রচনা নহে, এরূপ অনুমান করা যায় না । ৯ । বিদ্যাসুন্দর হইতে কবির জীবনী সম্বন্ধে অরি একটা ঘটনার আভাষ পাওয়া যায়। আমব তাহার জীবনীতে বলিয়াছি যে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাছার সহিত আলাপে: প্রীত হইয় তাহাকে নিজ পারিষদ করিবার ইচ্ছ। করেন। fকন্তু কবি তহিতে সন্মত হন নাই। ইহারই কিছুদিন পরে মহারাজ তাহাকে বৃত্তি দান করেন । বোধ হয় এই বিষয়ে কবির বে মনোভাব ছিল, তাহ বিদ্যাসুন্দরে উল্লেখ করিয়াই বলিয়াছেন – “ক্ষিপ্ত সেই স্বধৰ্ম্ম থেtয়ার থৈাসামোদে ।” আর বোধ হয় রাজার এই বৃত্তি দান প্রথা উল্লেখ করিয়াই বৰ্দ্ধমান রাজের দানশীল তার বর্ণনা করিয়া বলিয়াছেন, “ভূপতির অস্থিা আছে যাতায়াত নিত্য কাছে চিরবৃত্তি মুখে করে ভোগ ।” যদি এই অনুমান সত্য হয়, তাহা হইলে এই ঘটনার }
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।