পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@rや বিদ্যাসুন্দর। করভোর রতি প্রজ্ঞে— “করিস্বত শুও সম উরুবর শোভা । রুতির পণ্ডিত গুন আমি তাঁর লোভা ? দ্বিতীয়ে পঞ্চমে—দ্বিতীয় পঞ্চম অক্ষরে । কবিতার প্রথম চরণের দ্বিতীয় ও পঞ্চম অক্ষর “মু” । দ্বিতীয় চরণের “ন্দ” । এবং তৃতীয় চরণের “র”—ইহাতে “সুন্দর’ হইল। এক বস্তু তিন কিন্তু একে তিন ভাব— এই প্রহেলিকার প্রকৃত অৰ্থ বুঝা যায় না। কবি নিজেই বলিয়া ছেন, * .* কালী কিঙ্করের কাব্য কথা বুঝা ভার। বুঝে কিন্তু সে কালী-অক্ষর হৃদে যায়।” আমাদের হৃদে কালী অক্ষর নাই, সুতরাং ইহার অর্থ আমাদের না বুঝাব সঙ্গত । শাস্ত্ৰ মতে এক প্রকৃতি হইতেই ব্ৰহ্ম৷ বিষ্ণু মহেশ্বর উদ্ভুত হইছেন । ভারত বলিয়াছেন, “ব্রহ্ম। বিষ্ণু শিব হয় আমার শরীর। অভেদে cষজন ভজে সেই ভক্ত ধীর ॥” কবিরঞ্জন অন্যত্র বলিয়াছেন, “ভবানী শঙ্কর বিষ্ণু এক ব্ৰহ্ম তিন । ভেদ করে সেই মুঢ় জন প্রজ্ঞাহীন ॥” সুতরাং হরি হরে ভেদ করা সঙ্গত নহে। সেইরূপ শিব ও শক্তিতে ভেদ করা যায় না । বোধ হয়, এহ জন্যহ কবি বলিয়াছেন, এক প্রকৃতি হইতেই যখন তিন গুণের বা ব্ৰহ্মাদির উৎপত্তি তখন ইহাদের একজনকে ভজন। কারলেই তিন জনকে ভজন করা হয় । আদ্য অস্ত যেটা—বোধ হয় রজঃ ও তমো গুণ, ব্ৰহ্মা ও শিব বা ক্রিয়াশক্তি ও হচ্ছাশক্তি । সুতরাং ইহার দ্বার। আমাদের মনে বাসনায় ডদয় হয়, আমাদগকে ক্রিয়াশীল করে। তবে হছাদের সাধনায় আমাদের মুক্তি হয় তাহা সত্য।