শৃঙ্গার উপক্রমে বিদ্যার বিনয়। ৫৯ ইহার অন্তরূপ পাঠও কল্পনা করা যায়, যথা,— “পরাভব মানি সুখী বীরসিংহ বালা । স্বয়ম্বর কান্ত কণ্ঠে আরোপিল মালা ॥ পতি প্রদক্ষিণ সতী করে সপ্তবার । সুধার সাগরে ভাসে তনু দোহাকার ॥ সুভক্ষণে অন্যান্ত দর্শন কুতুহলী । সহচরীগণ রঙ্গে দেয় হুলাহুলী ॥ স্বন্দরীরে সমৰ্পিলা সুন্দরের হাতে । 素 瀛 激。 彎 দক্ষিণা পশ্চাতে হবে সম্প্রতি রহিল ॥ (মধ্যস্থলের পাঠ ঠিক পূৰ্ব্বমত ) জালালি ফকীর —অত্যন্ত রুক্স স্বভাব বৈরাগী ফকির বা নাগা সন্ন্যাসী । চন্দন সময় –মালাচনানের সময় বৈদ্য, কায়স্থ সমাজে প্রাধান্য লইয়া, কুলীন মৌলিকে মহ। বিবাদ হয়। অন্ত কোন দলে এরূপ হয় কি না জানি না । দম্পতি-(১) বিদ্যা ও সুন্দর। (২) কাম ও রতি । শৃঙ্গার উপক্রমে বিদ্যার বিনয় । (tr-90 পৃঃ) এই সকল অশ্লীল অংশ বর্ণনা করা সে সময়ের কবিদিগের প্রথা ছিল। ভারতচন্দ্রের কাব্য সমালোচনার প্রথমেই তাহার দোষ গুণ বিচার করা হইয়াছে স্বতরাং এস্থলে তাহার পুনরুল্লেখের আবর্তক নাই । তোটক ছন্দ –এই ছন্দে দুই ছত্রে বারটা করিয়া অক্ষর বা স্বর। তন্মধ্যে প্রত্যেক তৃতাঁর স্বর গুরু, বাকী সমস্ত লঘু হুওয়া আবস্তক । কবিরঞ্জনের অনেক স্থলেই ছন্দ পতন হুইয়াছে । দৃষ্টান্ত স্বরূপ ৩, ৮, ১, ১৮, ১৯, ২০, ২২ প্রভৃতি ছত্র দেখ ।
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।