২৬ ভূমিকা । অব্যবহিত পরেই যে তিনি বিদ্যান্থনীর লিথিয়ছিলেন, তাছা ৰলা যাটতে পারে । বাস্তবিক কবি যে মহারাজের মিকট এত উপকার পাইয়া, কৃতজ্ঞতা চিহ্ন স্বরূপ তাহাকে এই অপূৰ্ব্ব কাব্য উপহার দিতে অধিক দিন বিলম্ব করিয়াছিলেন, তাহা জামাদের বোধ হয় না । 豪、 যাহা হউক এই সকল বিযয় হইতে এই রূপ স্থির করা যায় যে বিদ্যাসুন্দর কবিরঞ্জনের নবীন বয়সের লেখা । কিন্তু তাহা হইলেও তাঙ্গার বিদ্যাসুন্দর যে ভারতের বিদ্যাসুন্দরের পূৰ্ব্বে লেখা হইয়াছিল, তাহার স্পষ্ট প্রমাণ হইল না । কবিরঞ্জন ও রায় গুণাকরের জীবনের ঘটনায় তুলনা দ্বারা যতদূর সিদ্ধান্ত করা বায়, তাহ আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি।" এক্ষণে কাব্যের রচনা প্রভৃতি হইতে যতদূর সিদ্ধান্ত হয় তাহাই দেখা যাউক । এ সম্বন্ধে কবিচরিত রচয়িত শ্ৰীযুক্ত হরি মোহন মুখোপাধ্যায় বলিয়াছেন, “কবিরঞ্জন প্রণীত বিদ্যাসুন্দর ভারতচন্দ্র বিরচিত বিদ্যাসুন্দরের অগ্রজ ইহা অনেকেই অবগত নহেন । উজ্জয়িনী অধীশ্বর মহারাজা বিক্রমাদিত্যের . অন্ততম সভাসদ বররুচি প্রণীত সংস্কৃত গ্রন্থের আভাস গ্রন্থণ করিয়া প্রথমে প্রাণরাম চক্ৰবৰ্ত্তা, তৎপর কবিরঞ্জন এবং সৰ্ব্বশেষ গুণাকর স্ব স্ব কবিত্ব প্রকাশ করিয়াছেন । যে কোন বিষয়ই হউক না কেন, প্রথমোদ্যোগেই কথন তাহ নির্দোষ হইতে পারে না । প্রাণরাম ও রামপ্রসাদ স্ব স্ব প্রণীত গ্রন্থে মূলের সহিত অনেক ঐক্য রাখিয়া গিয়াছেন, ভারতচন্দ্র তাহার দুই এক স্থান পরিত্যাগ করিয়া, নুতন কল্পনার সমাবেশ পুরঃসর নিজ গ্রন্থের উপাদেয়ত্ত্ব সম্পাদন করিয়াছেন । গুণাকর যে চণ্ডীকাব্য, প্রাণরামের কালিকামঙ্গল, ও কবিরঞ্জনের বিদ্যাসুন্দরকে অণদশ করিয়া তাহার অন্নদামঙ্গল রচনা করিয়াছেন, তাহার পরিচয় সেই গ্রন্থ পাঠেই বিশেষ উপলব্ধি হয়। ফলত দুই খানি বিদ্যাস্বন্দর পর্য্যালোচনা করিলে নানা লক্ষণ দ্বারা কবিরঞ্জনকৃত বিদ্যাসুন্দরের প্রাথম্য বিলক্ষণ সপ্রমাণ হয়। গুণাকরের উপখ্যান ভাগ অপেক্ষ ইহার উপাখ্যান ভাগ অতি সরল ও অলঙ্কার
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।