পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণীর বিদ্যা প্রতি ভৎস না । 史á তাহা ভোগ করিতে জানিত না। পিত৷ পুত্রে কখন দেখা সাক্ষাৎ হইত না ; মাতা কন্যায় কখন দেখাদেখি ছিল না । সকলেরই স্বতন্ত্র মহাল থাকিত, কেহ কাহারই তত্ত্ব লইত না। এই জঘন্য প্রথায় অনেক কুফল ফলিয়াছে সন্দেহ নাই। মুসলমানগণ বহু বিবাহ করিত, তাহায় বড়ই বিলাসী ছিল, সুতরাং পিতা পুত্রে তাহাদের সম্বন্ধ না থাকাই সম্ভব । প্রেম ভক্তি স্নেহ তাহাদের বড়ই অল্প ছিল —অথবা সে প্রকৃতির ফুক্তি হইবার সুযোগ ছিল না । এই মুসলমানী প্রথা প্রথমতঃ হিন্দু রাজপরিবার মধ্যে-পরে উচ্চবংশীয় অথচ মুসলমান সরকারের চাকর ভদ্র লোকের ঘরে, শেষে সাধারণ হিন্দু পরিবারের মধ্যে প্রচলিত হয়। কবি দীনবন্ধু মিত্র সধবার একাদশীতে ইহার কতকটা বর্ণনা করিয়াছেন । এই জন্যই বিদ্যার সহিত রাণীর বহুদিন দেখাসাক্ষাৎ নাই । 證 উদর ডাগর বড় বরণ পাণ্ডুর—এই স্থানে এবং ইহার পরের পরিচ্ছেদে কবিরঞ্জন যে গর্ভ বর্ণনা করিয়াছেন তাহ। অসম্পূর্ণ। ইহা অপেক্ষ ভারত অতি চমৎকার রূপে সমুদায় গর্ভ লক্ষণই বর্ণনা করিয়াছেন। রাণীর বিদ্যা প্রতি ভৎসনা । ,(१२-१६ ५: ) শুনি চমৎকার রাণী উঠে- এই স্থান ভারত ও কবিরঞ্জন উভয়ের বর্ণনা প্রার একরূপ । তবে ভারতের বণনা আরও উৎকৃষ্ট। ভারতের প্রথমেই আছে, “শুনি চমকিয়া , বলে সিহরিয়া মহিষী যেন তড়িত ॥” আস্ত আভা প্রভাতের শশী-উপমা অতিচমৎকার। প্রাতকেেল