\ሪbo বিদ্যাগুন্দর। বিদ্য। মাতাকে বলিয়াছেন “চক্ষু নাই বুঝি কাণ । বাস্তবিক এই স্থানটা বড় হ অসঙ্গত। কবি স্বয়ং বলিয়াছেন “রস শ্রীকবিকঙ্কনে কহে ৷ ” কিন্তু বাস্তবিক আমরা কোন রসহ এখানে পাহলাম না । , বাস্তবিক এসম্বন্ধে ভারতের বিদ্যা অনেক ভাল । তাহার এ সময়ে লজ্জা ভয় উভয়ই হইয়াছিল। রাণী যত কহে বিদ্যা মোন রহে লাজে ভয়ে জড়সড় । ভাবিয়া কান্দিয়া কহে বিনাইয়। ধূৰ্ত্তের চাতুরী বড়।” রাণী সহ বিদ্যা ও সখীগণের পুনর্ববাকৃছল । ( ૧૮-- ૧૧ જૂ: ) আমি বিষ খাই— ভারতে আছে, তখনি খাইব বিয । প্রবেশিব জলে কাতি দিব গলে পৃথিবী বিদায় দিস ॥” উণ্টা চোরে গৃহী বানে-যে চোর সেই কিনা গৃহস্থকে উণ্টাইয়া চোর বলিয়া বন্ধন করতেছে। অর্থাৎ বিদ্য৷ দোষী হইয়। আমাকেহ উণ্টাইয়। গালি দিতেছে। এই স্থানের রাণীর উক্তি ও বিদ্যার উত্তরের সহিত ভারতের বর্ণনার যথেষ্ট সাদৃশু আছে। অনাথিনী প্রায় পড়ে থাকি—ভারতে আছে, রাজার নানানা চির বিরহণ মোর সম কেব৷ আছে । তবে বুঝি.বাপ–এই স্থানটা অত্যন্ত অশ্লীল । কবির বর্ণনায় এইরূপ গ্ৰাম্য দোষ অনেক স্থানেই দেখিতে পাওয়া যায় । তবে ইহার অন্যরূপ অর্থও করা যায়–অর্থাৎ “তবে কি তোমার বাপের জ্ঞাতসারে এই কৰ্ম্ম হইয়াছে।
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।