পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোটালিনী কর্তৃক ভদ্রকালীর স্তুতি । ( ৮৫-৮৬ পৃঃ ) এই অংশ কবিরঞ্জনের সম্পূর্ণ নুতন। সুধু এ অংশ বলিয়া নহে, কবিরঞ্জনের চোর ধর সম্পূর্ণ নূতন রকমের । ভারতে ইহা অনেকটা পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে । কবিরঞ্জন যাহা আঠার অধ্যায়ে ত্রিশ পাতায় বর্ণনা করিয়াছেন —ভারত তাহা চারি অধ্যায়ে সাত পাতের মধ্যে শেষ করিয়া দিয়াছেন । চোর ধরার কৌশল কবিরঞ্জনে যেরূপ বর্ণিত আছে, তাহা এই—কোটাল রাজ কর্তৃক লাঞ্ছিত হইয়া অনেক মিনতি করিয়া ‘সাত দিনের সময় পাইল। বিদ্যার ঘরে কি চুরি হইয়াছে তাহ সে জানিত না । সুতরাং সে রাণীর নিকট তাহার স্ত্রীকে পাঠাইয়। দিয়া সমস্ত বৃত্তান্ত জানিল । তাহার পর কোটালপত্নী স্বামীর অভিষ্টসিদ্ধ হইবার জন্য কালীর আরাধনা করিয়া অভয় পাইয়া প্রসাদ পুস্প তাহার স্বামীকে দিল । কোটাল তখন সাহস পাইয়া রীতিমত সজ্জা করিয়া চোরধরিতে নগরে বাহির হইল । নগরময় মহা দৌরাত্ম্য আরম্ভ হইল। লোকের দেশে থাকা ভার হইয়া উঠিল । কোটাল ছদ্মবেশে নগরের নানা স্থানে নানা রূপ চর রাখিয়া ছিল । কিন্তু এত করিয়াও সে চোর ধরিতে পারিল না। পাচ দিন এই রূপে গেল। তখন কোটাল তাহার পিতৃব্যের পরামর্শে চোর সন্ধান করিবার জন্য বিজু ব্রাহ্মণীকে বিদ্যার নিকট পাঠাইরা ছিল –কিন্তু সেও কিছুই করিতে পারিল না । তখন কোটাল একেবারে নিরূপায় হইয়া পড়িল । তাহায় এক ভাই শেষে বিদ্যার গৃহে সিন্দুর লেপিয়া চোয় ধরিবার পরামর্শ দিল। কোটাল রাজার নিকট সম্মতি লইয়া বিদ্যার গৃহে প্রবেশ করিয়া তথায় সকল স্থানেই সিন্দুর লেপিয়া রাখিল । সুন্দর এপর্য্যন্ত কিছুই ক্ৰক্ষেপ করে নাই—দেববলে— আত্মবলে নিরাপদ ছিল, সুতরাং সুন্দর প্রত্যহই বিদ্যার 藝