নাগরিকগণের খেদ । brసి ভারতের পতিনিনা অতি জঘন্য, তাহা বিলাসিতায় পূর্ণ। কিন্তু এ ভাব কেমন মধুর কেমন কোমল কেমন প্রীতিপ্রদ কোমল প্রাণ স্ত্রীলোকদেরই ইহা শোভা পায় । বিশেষ সুন্দরের দুরবুস্থার সময় তাহীদের অন্ত কোন ভাব মনে আসিলে তাহা কখনই সঙ্গত হইত না । এই জন্যই ভারতের এই স্থানের বর্ণনা বড়ই অসঙ্গত। স্ত্রীলোকেরা বলিল রাজা সুন্দরের স্বরূপ দর্শনে, কোন প্রকারেই ইহার বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন হইবেন না । আছড়ি পাছড়ি...কন্তুহ হীর-কবি এস্থলে হীরাকে পর্য্যন্ত কেমন সুন্দর করিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। হীরার মুখে এই সকল মধুর কথা শুনিলে আমরা তাহার পূর্ব চরিত্ন ভুলিয়া ষাই—তাহাকে কত ভাল লোক বলিয়া মনে . করি। হীরা যখন প্রাণের কথাগুলি খুলিয়া বলিয়া খেদ করিতেছে--তাহtয় মনে একখানা মুখে একখানা নাই—সে মুন্দরের দুঃখে বিদ্যার দুঃখে যথার্থই দুঃখিত। তাই হীরার কথগুলি আমাদের এত ভাল লাগিয়াছে। পাঠক ! ভারতের হীরা ঠিক ইহার বিপরীত। তাহার বোধ, হয় রমণী, জনোচিত কোন কোমল বৃত্তিই ছিল না। যখন কোটাল তাঁহাকে চোরের সহিত রাজসভায় ধরির। আনে, তখন সে বলিল— কে জানে এমন চোর সিঁধে চুরি করে। নষ্ট হুই নষ্ট সঙ্গে হয়েছে মিলন । , ( ইত্যাদি ) আবার; যখন স্বন্দর ধরা পড়ে তখন বলিয়াছিল, “মালিনী রুষিয়া বলে গালি দিয়া। কে তুই, কে তোর মাসী ॥ " কেটে ফেল চোরে ছাড়ি দেহ মোরে বান্দহ ধৰ্ম্মের সেতু।” মৃত্যু প্রতি কারণ-মরণেরই এক মাত্ৰ হেতু। em sæs
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।