বিদ্যার উল্লাস oులి মতান্তরে,— “নরাঙ্গুল্যস্থিভিমর্গল গ্রথিত পৰ্ব্ব ভেদত: | নাড়্য সংগ্রথিত মাল কাৰ্য্যা রক্তেন বাসিত ॥” সাবিত্ৰী সমাজ ভব—ব্রাহ্মণগণ বিদ্যাকে সাবিত্রী সমান হও বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । এস্থলে কালীভক্ত সুন্দরের মোচন শুনিয়া, কালীকার ব্রতদাসী বিদ্য৷ আনন্দে অগ্রে সুন্দরের সম্ভাষণে না যাইয়া, কালীকার পূজা করিলেন, ইহাতে বিদ্যার চরিত্র উত্তম রক্ষিত হইয়াছে। ভারতের বিদ্যার ইহার কিছুই নাই । জননী জনক—এস্থলে কালীকে ও শিবকে পিতা মাতা ভাবে উপাসনা করা হইয়াছে। 象 বদরি কোমল•••ত্বর—কবির এই সকল কুট কথা সহজে । বুঝা যায় না। বোধ হয় এটা ষট চক্রভেদের কোন গুঢ় কথা হইবে। মূলাধারে শিবের মস্তকস্থিত . কুণ্ডলিনী কালীর মুখ নিঃস্থত সুধা মৃণাল . তন্তুবৎ ব্ৰহ্ম নাড়ী দিয়া সহস্রারে আসিয়া সমস্ত শরীরকে স্বধাসিক্ত করে। ইহার প্রকৃত তত্ত্ব সাধক ব্যতীত আর কেহই জানিতে পারে না। অথবা কাব্য প্লস উল্লেখ করিয়াও একথা বলা হইয়া থাকিবে বদরিকোমল কি অর্থে বলা হুইয়াছে, বুঝা গেল না। রসবেত্তা-ভক্তিরস বা কাব্যরস উভয়ই হইতে পারে। সম্ভবতঃ এস্থলে ধৰ্ম্ম ভাবকেই উদ্দেশ করা হইয়াছে। গব গণ...হাসে-এহ হাঙ্গত অতি সুন্দর হইয়াছে । বাস্তবিক যাহারা নিৰ্ব্বোধ প্রকৃত রসজ্ঞ নহে, তাহার এইরূপ গরুর মত ভঙ্গ করে মাত্র । তাহার কোন রস বুঝে না । গো, সম্বোধনেও হইতে পারে । বাস্তবিক বানর ব্যতীত অরি কোন পশুই মুখভঙ্গী করিতে জানে না। ’ অরসিক মরণ-সংস্কৃত-শ্লোক আছে, “ইতরতানি তাপশতানি যথেচ্ছয়। বিস্তুর মাংপ্রতি চতুরানন ।
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।