পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণীর প্রতি বিদ্যার প্রবোধ বচন । ( ১৫৮—১৬১ পৃ: ) এই স্থানটী অতি চমৎকার। বিদ্য যে প্রকৃত বিদ্যাবর্তী, ভারত তাহার কোথাও পরিচয় দেন নাই । ভারতের বিদ্য চিরকালই রঙ্গরস লইয়। উন্মত্ত । এই বিদায়ের সময়েও সন্ন্যাসিনী সাজিয়া কত রঙ্গ করিয়াছিল, কিন্তু কবিরঞ্জনের বিদ্যা স্থানে স্থানে আপনার অসাধারণ বিদ্যার পরিচয় দিয়াছেন। তন্মধ্যে এই স্থানটা অতি উৎকৃষ্ট । পাঠকগণ এরূপ বর্ণনা আর কোথাও পাইবেন না । মুনি- মনোহরা—যে কথায় মুনিরও মন হরণ করে । মাতৃহত্য-ভয়--রাণীর শোক অতি সুন্দরীরূপে বর্ণিত হই য়াছে। রাণী সাধারণ স্ত্রীলোকের ন্তায় মায়ামুগ্ধ ৷ কার পুত্র দুহিতা—ভারতে আছে, মিছু দার। স্বত লয়ে, মিছা সুখে সুখী হয়ে । যে রহে আপনা কয়ে সে মজে বিষাদে ॥ সত্য ইচ্ছা ঈশ্বরের আর সব মিছা ফের— বিষম যাহার মায়া...ব্যাপিনী—ভারতে আছে, “কত মায়া কর কতমায়া ধর বেদের গোচর নয় । বিধি হরিহর আদি চরাচর কটাক্ষেতে কত হয় ।” কৰ্ম্মভোগ-নিজ কৃত কৰ্ম্মের ফলভোগ। পূৰ্ব্বে ইহার শাস্ত্র প্রমাণ দেখান হইয়াছে। বাহ্য জ্ঞান নাই—যিনি মহাযোগী, তিনি বাহিরের বিষয় কিছুই দেখেন না । তাহার ইন্দ্রিয়দ্বার গুলি নিরুদ্ধ। কারণ “যোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ ” নিবৃত্তি মার্গ-সংসারের মিছা মায়া ত্যাগ করিয়া সত্য ও ধৰ্ম্ম পথে যাওয়া উচিত, তাহ প্রথমে বুঝান হইল । প্রবৃত্তি মার্গ –কিন্তু সাংসারিক লোক এ উপদেশের মৰ্ম্ম বুঝিবে না—কেন না তাহার। মায়ামুগ্ধ । আপন আপন