w අැ· • || • = কাব্যের উপরিভাগ বা আমুসঙ্গিক বিষয় মনে করি, আমরা পুৰ্ব্বে বলিয়াছি কবি দ্রষ্টা ও স্ৰষ্ট । তিনি বাহ্য ও অস্তজ্জগতে স্তরের পর স্তর ভেদ করিয়া কোথায় কোন নুতন—কোন অজ্ঞাত সত্য নিহিত আছে, তাহাই বিশ্লেষণ করিয়া দেখিবেন, তৎপরে সেই সকল সত্যগুলিকে বাছি বাছিয়া তাহাদিগকে সৌন্দর্য্যের আবরণে সজ ও করিয়- এক নূতন অদ্ভুত, মনোহর কল্পনাময় জগত স্বষ্টি করিবেন। সাধারণতঃ স্বভাব বর্ণনায় তাহার দৃষ্টি, আর কাল্পনিক চরিত্র সংগঠনে তাহার স্থ ষ্টি ক্ষমতা সহজেই বুঝা যায়। আমরা এই জন্য কবিরঞ্জনের স্বভাব বর্ণনা ও র্তাহার চরিত্র কিরূপ ছিল— তাহাই দেখাইৰ মাত্র। তাছা হইলেই কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দর কোন শ্রেণীর কাব্য তাহ পাঠক সহজেই বুঝিতে পারবেন। কবিরঞ্জনের বিদ্যামন্দরের বণনা যেরূপ সতেজ, সহজ, স্বাভাবিক ও ভাবব্যঞ্জক—সেরূপ বৰ্ণনা সাধারণ (কাব্যে আদৌ পাওরা ৰায় না। স্থানে স্থানে তাহার স্বভাব বর্ণনা অত্যন্ত সুমধুর। তাহা মনের মধ্যে এমনই স্পষ্ট করিয়া চিত্র আঁকিয়৷ দিতে পারে ষে, পাষাণের রেখার নায় তাহ। কখনহ বিস্কৃতির কালিমাময় আবরণে আবৃত হয় না । অনেক স্থলে অল্প কথায় এরূপ অধিক ভাব প্রকাশ করা আছে- এবং তাহ। এরপ চমৎকার ও হৃদয়গ্ৰাহী হইয়াছে— ধে সেগুলি চলিত কথা হওয়া উছিত । নিম্নে ধুই একটা দৃষ্টাও দিই— বিদ্যার গর্ড সংবাদ শুনিয়া রাণী গোলধোগ করিবার উপক্রম করিলে সখিগণ বলিল, “আপনার মান গে। আপনি যত্নে রাখি। লোকে বলে কাট কান চুল দিয়া চাকি । জাকাশে ফেলিতে ছেপ এuস গায়ে পড়ে।” আর একস্থte;বিদ্যার গর্ভ সংবাদ শুনিয়া রাজা কোটালকে তিরষ্কার করিলে, সে বলিল— “বিষ খেতে দেন মাত। ধনলোভে বেচে পিতা, । জাতিবাদ. আদি দেয় দারা।
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।