অষ্টমঙ্গল } 2ష్సి) বেশ বুঝা যায় ষে, ইহাতেও প্রথমে দক্ষযজ্ঞ, পরে পাৰ্ব্বতীর জন্ম ও মদনভস্ম, তাহার পর মহিষাস্থর যুদ্ধ, তাহার পর রামের সেতুবন্ধে দুর্গাপূজা, তাহার পর গুম্ভনিগুষ্ট্রেক্ষ যুদ্ধ, ও সুরথ রাজার মহাপুজা, তৎপরে ব্ৰহ্মাবিষ্ণু শিবের মহাকালী দর্শন, তৎপরে বিক্রমাদিত্য ও ভানুমতী উপাখ্যান ও শেষে এই বিদ্যাসুন্দর বা মালাধর ও হীরাবতী উপাখ্যান ; এই আটট বিষয় বর্ণিত ছিল। ইহার মধ্যে কেবল বিদ্যমুনার অংশটি পাওয়া যায় মাত্র। . কবির প্রনের, ন্যায় একজন মহা সাধক ও মহাকবির এরূপ মহাকাব্য কিরূপ অমুল্য ছিল, তাহ অবশ্য সকলেই বুঝিতে পারিবেন । কবির যে এই অষ্টমঙ্গলা গান সম্পূর্ণ ছিল, তাহার আর একটা কারণ এই দেখা যায় যে.বিদ্যাসুন্দরকে ইহার “জাগরণ পালা’ বলিয়া নির্দেশ করা আছে। অর্থাৎ প্রথম সাত দিন দিবসে বা সন্ধ্যার সময় গান হহয়। শেষ দিনে রাত্রিতে লোকে এই পাল গুনিত। ভারতের মানসিংহ এইরূপ জাগরণ পাল। যথা, “এত দূরে পালা গীত হইল সমাপন। অতঃপর রজনীতে গাব জাগরণ ॥” আমরা কবিরঞ্জনের সেই জাগরণ পালা মাত্র পাইলাম মূল পালা গীত পাইলাম না। বড়ই দুঃথের বিষর, সন্দেহ নাই । সমাপ্ত ।
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৩৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।