পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ ভুমিকা । সহরে গুজব উঠে একে এক শত । গল্প বাড়ে বড়ই আঠার মেসে ষত ॥৩ দরজায় বসে কেহ মগুল্লের ঠাট। পথের মানুষ ডেকে লাগাইছে হাট । এক সর। ভরা টিকা হুকা চলে ছটা। পোয় দেড় গুড়াকু তামাকু টেকীকুটী ॥ হেসে কহে তোমরা শুনেছ ভাই আর । শুনিলাম এখনি আশ্চর্য্য সমাচার ॥ হাত কাটা একটা মানুষ গেল কয়ে। চোরের সহিত নাকি ছিল দুটা মেয়ে ॥ এরূপ চমৎকার বর্ণনা আমরা আর কোথাও দেখি নাই। ইহাতে সে সময়ের নিস্কৰ্ম্মাদের গাল’ গল্প তামাকু প্রিয়তা গুজব রটন। পটুতা, সমস্তই অতি সুন্দর রূপে দেখান হইয়াছে। আবার যখন চোর ধরা পড়ে, তখন নগর সুদ্ধ লোক চোর দেখিতে দৌড়ায়—তাহীদের ব্যগ্রত কেমন সুন্দর রূপে বর্ণিত হইয়াছে দেখুন— .

  • ধরা গেল চোর সোর পড়িল নগরে। বাল বৃদ্ধ যুবা যায় নাহি রহে ঘরে ॥ স্তনপান করে শিশু কোলে যে ধনীর { মৃত্তিকায় ফেলি ধায় হৃদয় অস্থির ॥ রন্ধন শালায় বামা রন্ধনে যে ছিল । আথার উপরে হাড়ি রাথিয়৷ চলিল ॥ বেগে ধায় নাহি চার পিছু পানে-ফির । কেহ কহে দাড়া লে। মাথার লাগে কিরা । এক জন প্রতি আর জন বলে কই । সে কছে অঙ্গুলি ঠারি ওই দেখ ওই ॥ " কবির ভণ্ড বৈষ্ণবদিগের ভণ্ডামি বর্ণনা অত্যন্ত চমৎকার ইছয়াছে। বর্ণনা বিস্তৃত হইলেও আমরা তাহ উদ্ধৃত করিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারিলাম না । বৰ্ণনা এই--