পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や ভূমিকা। সুতরাং বিদ্যা তখন অনন্যোপায় হইয়। কায়মনোবাক্যে কালীর স্তৰ করিতে আরম্ভ করিলেন । মহাবিদ্যা তুষ্ট হইয়া প্রসাদ জবা দিয়া দৈববাণী করিলেন

  • * * *, তোমার হৃদেশ সেই,

আজিনিশি সকল প্রতুল।” সুতরাং বিদ্য। সুন্দর সমাগম দোষের কাজ মনে করে নাই । পিতামাতাকে না বলা “ক্ষুদ্র দোষ” বা অভব্যতা হইয়াছে ইহাই মনে করিত। সে যাহা হউক বিদ্যার গর্ভ সংবাদ পাইয়। রাণী যখন বিদ্যাকে ভৎসনা করিতে আসিল, তখন বিদ্যা মাতার সহিত ভাল ব্যবহার করে নাই। কেন করে নাই, তাহার কারণ কবি কতকটা বুঝাইয়া দিয়াছেন। মুসলমানদের অবরোধ প্রথার মত বাঙ্গালীর ঘরেও তখন অবরোধ প্রথা প্রচলিত হইতেছিল। এই জঘন্ত প্রথা জন্য পিতা পুত্রে, মাত কন্যায় বড় একটা সাক্ষাৎ হইত না । কন্যার স্বতন্ত্র মহাল নির্দিষ্ট ছিল । কন্যা আপন ইচ্ছামত কাজ করিতে পারিত, পিতা মাতার ধার, ধারিত না। তাই বিদ্যা দুঃখ করিয়া বলিয়াছিল, অনাথিনী থাকি এক ছমাস বৎসরে দেখা দিনেক তোমার সঙ্গে নাই। • কাজেই মাতার উপর বিদ্যার ভক্তি, ভালবাসা বৃদ্ধি হইতে পায় নাই। ইহার উপর বিদ্য। লেখা পড়া শিখায় মাত পিতা তাহাকে ভয় করিত । , “অন্তকে ডরাণ পিতা ততোধিক মাতা ভীতা ; জানন। গে৷ তুমি কি আমাকে । ” ইহার উপর তাবার বিদ্যা সুন্দর সহ মিলনকে দুৰ্ষণীয় মনে করিত না। সুতরাং নির্দোষীর যে মনোবল বিদ্যার তাহ ছিল। এই জন্য বিদ্যা মাতার কথার তত ভীত বা লজ্জিত হয় নাই। মাতার সহিত তাহার বাক্‌চাতুরীতে অধর প্রাস্তে ঈষৎ হাসি ও নয়নে ব্যঙ্গের কটাক্ষ দেখা দিয়াছিল।