ভূমিকা । 8ዓ সেই কারণেই বিদ্যা বিধু ব্রাহ্মণীর প্রতি অত্যাচার করিয়াছিল, কোটালকে বিনয় করিয়া বলিয়ছিল,
- প্রাণ মোর নহে চোর এতো জোর মিথ্যা সোর ” আর কোটালও বলিয়াছিল,
“তুমি সতী গুণবতী ভগবতী প্রতি মতি সামান্ত মানুষ নহে এই ৷ ” আর এক কথা, বিদ্যা যে রীতিমত কালী ভক্ত তাহ। কবি বরাবর দেখাইয়াছেন । বিদ্যা প্রত্যহ রীতিমত কালী পুজা করিত। পূজার ফুল আনিতে বিলম্ব হইয়াছিল বলিয়। হীরাকে কত লাঞ্ছনা করিয়াছিল । বাস্তবিক বিদ্যা কালীর সাদেশ ব্যতীত কোন কাজ করে নাই। সুন্দর সমাগমের পূৰ্ব্বে বিদ্যা কালীর আরাধনা করিয়া আকাশবাণী শুনে। বন্ধন দৃষ্ট্রেও সেইরূপ কালী পুজা করিয়া আশ্বস্ত হইয়াছিল। আবার যখন সুন্দরের মোচন ও রাজার নিকট তাহার সম্মান প্রাপ্তির কথা শুনিয়াছিল, তখনও ভক্তি ভাবে কালী পূজা করিয়াছিল । সুতরাং এরূপ ভক্ত ইষ্টদেবতার আদেশে ষে কাজ করিয়াছে, তাহার জন্য তিরস্কৃত হইলে তাহাতে লজ্জা ব। দুঃখ হইবার কারণ হয় না । এই জন্ত কোটালের চোর ধরিবার গোলযোগের সময়ও বিদ্য ও সুনার সম্পূর্ণ অমমেযোগী থাকিয়া পরস্পর আমোদ প্রমোদে রত ছিল । ইহা ব্যতীত কবিরঞ্জন বিদ্যার বিদ্যার পরিচয় দিয়াছেন । ভারত কোথাও সে চেষ্টা করেন নাই। বিদ্যা ও সুন্দরের বিচারে অল্পই বিদ্য বুদ্ধির পরিচয় আছে, অন্ততঃ তাছু যথেষ্ট নহে। কিন্তু কবিরঞ্জন বিদ্যার শ্বশুরালয়ে গমনের সময় সেই পরিচয় দিয়াছেন । সুন্দর দেশে যাইবার সময় বিদ্যা তাহার সহিত যাইবেন কিনা জিজ্ঞাসা করিলেন । বিদ্যা তাহাতে আর এক বৎসর থাকিতে অনুরোধ করিলেম । সুন্দর একান্তই মাইবেন । বিদ্যাকে বলিলেন, যদি ভাব যাব দূর থাক নিজে পিতৃপুর কিছু কাল কর মুখ ভোগ ।