ভূমিকা । (t ) যে এরূপ কাব্য' এত দিন অনাদৃত ছিল। এই কাৰ্য সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত হরিমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বলিয়াছেন, “ কবিরঞ্জন সকল রস বর্ণনাতেই বিশেষ ক্ষমতাপন্ন ছিলেন । ইনি পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কবিগণের অপেক্ষ কি ছন্দোবন্ধ, কি বাগাড়ম্বর, কি কল্পনাশক্তি কিছুতেই হীনকল্প ছিলেন না—বরং শ্রেষ্ঠ ছিলেন । ইহঁার রচনা ওজস্বী, প্রগাঢ় ও অনুপ্রাস বহুল। রায়গুণাকরের বিদ্যামনারের দ্যায় কবিরঞ্জনের কবিতা সরল ও প্রসাদ গুণসম্পন্ন নহে বটে, কিন্তু কবিত্বে কোন অংশে নিকৃষ্ট নহে—বরং যেখানে রামপ্রসাদ পরমার্থ প্রসঙ্গ ও কালী নামের গন্ধ পাইয়াছেন, সেই স্থানেই রচনার শেষ করিয়া ভুলিয়াছেন। তাহার এক বিদ্যাসুন্দরেই কোমল ও সরল, এবং কুটিল ও কর্কশ রচনা প্রায় সমপরিমাণে মিশ্রিত দেখিতে পাওয়া যায়। কবিরঞ্জনের এক স্থানে লিখিত আছে, “কালী কিঙ্করের কাব্য কথা বুঝা ভার। বুঝে কিন্তু সে কালী অক্ষয় হৃদে যায়।” ইছা যদিও গৰ্ব্বব্যঞ্জক, কিন্তু কবিরঞ্জনের কবিতামাল এই গৰ্ব্ব সংরক্ষণে অসমর্থ নহে । * * * ফলতঃ নিরপেক্ষ চিত্তে আলোচনা করিয়া দেখিলে নিঃসংশয়ে প্রতিপন্ন হইবে ধে, কবিরঞ্জন প্রণীত বিদ্যামুন্দর একখানি সুন্দর ও মনোহর কাব্য । ইহার স্থানে স্থানে এমন সুন্দর কবিতা সকল বিরচিত হইয়াছে যে, পাঠ মাত্রে পাঠকের অন্তঃকরণে রচয়িতার কবিত্ব শক্তি প্রতিভাত হয় । কবিরঞ্জন হিন্দী এবং বাঙ্গালী ভাষা মিশ্রিত করিয়া যে সকল কবিতা বুচনা করিয়া গিয়াছেন, তাহ। ভারতচন্দ্রের মিশ্র ভtধtয় কবিত্ত। অপেক্ষায় কোন অংশে নিকৃষ্ট নহে ।” - (: ۹ ه لاس Ff Eff5) -- * سمستمد مع ي قة
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।