রামপ্রসাদের জীবনর কৰিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তই তামাদের দেশের লুপ্তপ্রায় কৰিদিগের কবিতা ও জীবনচরিত উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছিলেন। ইহা বাঙ্গালা সাহিত্যের সৌভাগ্য বলিতে হইবে। নতুবা রামপ্রসাদ, ভারতচন্দ্র প্রভৃতি প্রাচীন কবিদিগের কোন কথাই আজ জানিবার উপায় ছিল না। তাহার পর বাবু দয়ালচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ও স্বয়ং কুমারহট্ট প্রভৃতি স্থানে গিয়া কাবরঞ্জন সম্বন্ধে অনেক কথু সংগ্ৰহ করিয়াছেন। আমরা এক্ষণে প্রধানতঃ তাহদের লিখিত পুস্তক এৰং পণ্ডিত রামগতি স্থায়রত্ন মহাশয়ের ‘বাঙ্গালা সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব হইতে কবিরঞ্জন রামপ্রসাদের জীবনী সংগ্ৰহ করিলাম । প্রসিদ্ধ হালিসহরের অস্তঃপাতী কুমারহট্ট গ্রামই কবিরঞ্জনের জন্মস্থান । এস্থানে পুর্বে অনেক ঘর ধনবান কুম্ভকার বাস করিত বলিয়া বোধ হয়। হহাঁর নাম কুমারহট্টবা কুমারহাট হয়। এক্ষণে তথায় রামপ্রসাদের বাসগৃহের কোন চিহ্ল নাই । গুনিয়াছি, সেস্থলে পুষ্করিণী হইমাছে । কেবল তাছার সাধনের পঞ্চমুণ্ডী আসনের স্থান অদ্যাবধি বর্তমান আছে। আজি পৰ্য্যন্ত অনেক গায়ক মজুরী করিতে. যাইবার পুৰ্ব্বে এই স্থানে আসিয়া গান করে, ও মাথায় ও জিহবায় আসনের স্থানের মাটী ছুয়াইয়া আপনার অভীষ্ট স্থানে যাইয়া থাকে। আজিও এখানকার লোক এই আসনের স্থান পবিত্র বলিয়া, মলমূত্র ত্যাগে অপবিত্র করে না । কবিরঞ্জন স্বয়ং বিদ্যাসুন্দরে তাহার বাসস্থানের পরিচয় দিয়াছেন,— ধরাতলে ধন্য সে কুমারহট্ট গ্রাম । তার মধ্যে সিদ্ধপীঠ রামকৃষ্ট ধাম ॥
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।