や কবির &ন রামপ্রসাদের স্পষ্ট ঠিক করা যায় না। শ্রীযুক্ত রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয় বলেন যে, কাহারও মতে ভূকৈলাশের দেওয়ান গোকুলচন্দ্র ঘোষাল, কাহারও মতে নবরঙ্গকুলাধিপ দুর্গাচরণ মিত্ৰই তাহার প্রভু ছিলেন । রামপ্রসাদ বড় স্বাধীনচেত ছিলেন তাই কোথাও ভণিতায় ভারতচন্দ্রের “ আজ্ঞা দিল কৃষ্ণচন্দ্র ধরণীঈশ্বর ” মত তিনি তাহার পালক রাজা কৃষ্ণচন্দ্র অপব। এই ধনবান লোকের নাম করেন না । কেবল কোন কোন স্থলের ভণিতায় আছে-- “ শ্রীরাজকিশোরাদেশে শ্রীকবিরঞ্জন । রচে গান মহা অন্ধের ঔষধ অঞ্জন ৷ ” এই রাজকিশোর যে কে তাহ স্থির করা যায় না । ইনি সম্ভবতঃ তাহার প্রভু অথবা তাহার কোন বংশধর হইতে পারেন। & প্রাক্তন জন্মের সংস্কার জন্যই হউক, অথবা যে কারণেই হউক, অতি অল্পবয়সেই রামপ্রসাদের অসাধারণ কবিত্ব শক্তি ও ঈশ্বরভক্তি মনে বিকসিত হইয়াছিল! শুনা যায় যে, তিনি ষোল বৎসর বয়সের সময়ই অসাধারণ কবিত্ব শক্তি দেখাইয়াছেন । ভারতচন্দ্র ও পনর বৎসর মাত্র বয়সে, অতি অল্পসময়ে সত্যনারায়ণের কথা রচনা করিয়াছিলেন । বাস্তবিক যিনি প্রকৃত কবি তাহার এই শক্তি অতি অল্প বয়সেই বিকসিত হয়। এই রূপ যাহার ভক্তি প্রভৃতি উচ্চ মনোবৃত্তি গুলি স্বাভাবিক, তাহাও বাল্যকাল হইতে পরিফট হইতে দেখা যায়। “ সাধকেন্দ্র ” রামপ্রসাদও বোধ হয় অতি শিশুকাল হইতেই ধৰ্ম্মভীরু ও কালীভক্ত ছিলেন । তাই অতি অল্পবয়সেই সেই ভক্তিবৃত্তি র্তাহার মনে অত্যন্ত প্রবল হইয় উঠে। অকস্মাৎ পরিবারের ভার তাহার উপর পতিত হওয়tয়, তিনি দিগ্বিদিক্ বিবেচনা শুন্য হইয়। চাকুরী স্বীকার করিলেন বটে, কিন্তু তাহাতে তাহার মন উঠিল না। র্তাহার মন ঈশ্বরে পরিপূর্ণ ছিল। ৰিষয় কৰ্ম্মে মন যাইত না । তিনি সৰ্ব্বদা কালীর ভাবে
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।