পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b- কবিগুন রামপ্রসাদের স্কার হইল। তিনি এই বৃত্তি পাইয়া সংসারের ভার হইণ্ডে মুক্ত হইলেন । তাহারসংসার বন্ধন ঘুচিল—মন স্বাধীন হইল । তিনি নিজ ইষ্টদেবতার সাধনায় মনযোগ দিলেন । এবং তাহার পরেই নিজ বাট গিয়া তথায় পঞ্চমুণ্ডী আসন প্রস্তম্ভ করিয়া, রীতিমত তান্ত্রিক কালীসাধনায় দিযুক্ত হইলেন । রামপ্রসাদ কোন সময়ে বিবাহ করেন, তাহ ঠিক বলা যায় না । ইহা ব্যতীত ভণিতার কোন স্থানে তাহার স্বশুর কুলের নামোল্লেখ নাই। কেহ কেহ বলেন, অনুমান বাইস বৎসর বয়সে প্রসাদ বিবাহ করেন । তাহা হইলে এই ঘটনার পরে তাহার বিবাহ হইয়াছিল বলিতে হইবে । রাম প্রসাদের ধারণ ছিল যে, তুিনি পূর্ব জন্মে কাল ভক্ত ছিলেন, কিন্তু এজন্মে তাহ।. অপেক্ষ তাহার স্ত্রা অধিকতর সৌভাগ্যবতী । কেননা তাহার বিশ্বাস ছিল যে, স্বপ্নযোগে কালী তাহার স্ত্রীকে দেখা দিয়াছিলেন, কিন্তু তাহার নিকট কখনও প্রকাশিত হন নাই। তিনি একস্থলে বলিয়াছেন, “ধন্ত্যাদার স্বপ্নে তারা প্রত্যাদেশ তারে । আমি কি অধম এত বৈমুখ আমারে ॥ জন্মে জন্মে বিকায়েছি পাদপদ্মে তব । কহিবার কথা নয় বিশেষ কি কব ॥* সে যাহা হউক তিনি সাধনায় সিদ্ধ হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু মনোমত সিদ্ধিলাভ করিতে পারেন নাই। — “শ্ৰীমণ্ডপে জাগ্রত শৈলেশ পুত্রী যথা । নিশাকালে চরিতার্থ শ্রীরঞ্জন তথা ॥ কিঞ্চিৎ তিষ্ঠিলে ফলাপেক্ষণ ছিল কিবা । ক্ষীণ পুণ্য দেখি বিড়ম্বন কৈল শিব ॥* , কালী সাধনায় সিদ্ধ হইলে, কালী অসিয়া সাধকের নিকট প্রত্যক্ষ হন, বোধহয় প্রসাদের তত দূর হয় নাই, তাই তাহার এত আক্ষেপ। বিদ্যাসুন্দর পাঠে বুঝা যায় যে, তিনি শবসাধন প্রভৃতি কঠিন সাধনার গুঢ় রহস্ত জানিতেন, গুরূপদেশে কোন রূপ গুহ সাধনই তাহার অপরিজ্ঞাত ছিল না, বোধ