জীবনবৃত্তান্ত | S হয়, তিনি এই সমস্ত সাধনই করিয়াছিলেন । তিনি শব সাধনার বর্ণনায়'ৰলিয়াছেন, “জ্ঞাত নহি বলে কেহ না করিবে হেলা । বিষম বিষয় কাল সর্প নিয়া থেলা ॥ স্বকীয় কল্যাণ কিন্তু চিন্ত করা চাই । ভঙ্গীতে সম্বেপে কিছু কিছু কয়ে যাই ॥” এই সাধনা সম্বন্ধে প্রসাদের গুরু কে ছিল, তাহ জানিৰার উপায় নাই । একথা প্রসাদ কোথাও ব্যক্ত করেন নাই । কারণ “গুরু মন্ত্ৰ ইষ্ট মন্ত্র পরমায়ু ধৰ্ম্ম । ব্যক্ত করা মত নহে এসকল কৰ্ম্ম ॥” তবে এক স্থলে তাহার ভণিতায় অাছে, “কৃপানাথ উপদেশ প্রসাদ ভক্তের*শেষ প্রাণ দান দিয়া লৈতে চায় ।” ইহাতে কেহ কেহ অনুমান করেন যে, কৃপানাথ তাহার গুরুর নামও হইতে পারে । সে যাহা হউক, সঙ্গীতই তাছার সাধনা ও উপাসনার প্রধান অঙ্গ ছিল । যথাস্থানে আমরা তাহার বিষয় উল্লেখ করিব । রামপ্রসাদের বাসস্থান কুমারহট্ট গ্রাম মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের জমীদারিভুক্ত ছিল। এই স্থান গঙ্গার নিকটস্থ বলিয়া মহারাজা এস্থানে এক ধৰ্ম্মাধিকরণ ও বায়ুসেবনালয় নিৰ্ম্মাণ করেন। অবসর ক্রমে তিনি মধ্যে মধ্যে এখানে আসিয়া বিশ্রাম করিতেন। সকলেই জানেন, তৎকালে তাহার ন্যায় গুণজ্ঞ, বিদ্যার উৎসাহদাতা, এদেশে আর কেহই ছিলনা। এদেশের . প্রায় সকল প্রধান পণ্ডিতই তাহার সভাসদ ছিলেন । সকলেরই উপযুক্তমত বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত ছিল । হরিরাম,গোপাল, বীরেশ্বর, রামেশ্বর, শিবরাম, বলরাম, শঙ্কর, গেবল, বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার প্রভৃতি অনেক বিদ্যাবিশারদগণ র্তাহার সভা উজ্জল করি যাছিলেন । র্তাহীর সভায় মুক্তারাম, হুtঠ {ৰ
পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।