পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনবৃত্তান্ত । ጏ¢ উপাসনার অঙ্গ বোধে কিঞ্চিৎ স্বরা পান করিতেন। ইহাতে মনেকে’ তাহাকে মাতুল বলিত—কিন্তু তিনি তাহাতে ক্রুদ্ধ হইতেন না । শুনা যায় একদিন তথাকার প্রসিদ্ধ অধ্যাপক বলরাম তর্কভূষণ র্তাহাকে মাতাল বলিয়া বিক্রপ করায়, তিনি তাহার উত্তরে গাহিয়tছলেন— - “মুরাপান করিমে আমি স্বধা থাই রে কুতূহলে। আমার মন মাতালে মেতেছে আজ, & মদ-মাতালে মাতাল বলে । * এক্ষণে কবিরঞ্জনের গ্রন্থের কথা বলা যাউক । “তাহার গ্রন্থমধ্যে কবিরঞ্জন বিদ্যাসুন্দরই বৃহৎ ও প্রধান ৷ ” ইহ। ব্যতীত কালীকীৰ্ত্তনই রামপ্রসাদের সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য। ইহাতেই তাহার রচনাশক্তির বিশেষ বিকাস দেখ। ষায় । যিনি সমস্ত জীবন কালীসাধনায় অতিবাহিত করিয়াছিলেন, কালীতে অtহার, কালীতে বিহার, কালীতে প্রাণ মন সমৰ্পণ করিয়াছিলেন, তাহার কালীকীৰ্ত্তন যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হইবে, তাহাতে . কি আর সন্দেহ আছে। পণ্ডিত রামগতি দ্যায়রত্ন বলিয়াছেন, “রামপ্রসাদের কালীকীৰ্ত্তনের রচনা মহাকাব্যের মত স্বগৃঙ্খল নিবদ্ধ নহুে—উহার অধিকাংশই কেবল গানময়। ঐ সকল গীতে যে অতি উৎকৃষ্ট রচনা আছে তাহ। সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে।” এই দুই খানি কাব্য ব্যতীত রামপ্রসাদ কৃষ্ণকীৰ্ত্তন ও শিবকীৰ্ত্তন নামক আরও দুই খানি কাব্য রচনা করেন। কিন্তু এই দুই খানি পুস্তকই এখন পাওয়া যায় না। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মহাশয় অনেক অনুসন্ধান করিয়াও উহার করেকটি শ্লোক বই বাহির করিতে পারেন নাই । সে যাহা হউক, কবিরঞ্জনের পদাবলীই তাহার অতুলকীৰ্ত্তি। সঙ্গীত সাধনই তাছার জীবনের মূলমন্ত্র ছিল । বাল্যকাল হইতে যখনই তাহার মনে ভক্তির উদয় হইত, তুখমই তিনি সঙ্গীতে র্তাহার মনোভাব প্রকাশ করিতেম।