পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や কহি ঞ্জন রামপ্রসাদের প্রসাদের জীবনই ভক্তিময় ছিল, সুতরাং তাহীর মনে সৰ্ব্বদা সেই ভক্তিরই উচ্ছাস হইত। একারণ র্তাহার গীত রচনায় কালাকাল, স্থান অস্থান ছিল না, প্রায় সৰ্ব্বদাই তাহার মুখ হইতে স্বতঃই সঙ্গীত নির্গত হইত। আমরা অনেক সাধকের কথা শুনিয়াছি, তাহারু নিজ ইষ্টদেবতার পুজার পরে প্রত্যহ তাহার, মহিমাব্যঞ্জক সঙ্গীত রচনা করিয়া প্রথমে তাহা গান করিয়া তবে আসন হইতে উঠিতেন। কবিরঞ্জন যে সুধু পূজার পর এরূপ গীত রচনা করিতেন, তাহী নহে—যখনই তাহার মনে ভক্তির উচ্ছসি হইত, তখান সঙ্গীতে তাহ ব্যক্ত করিতেন। রামপ্রসাদ এইরূপ মুখে মুখে অবলীলাক্রমে গান রচনা করিতে পারিতেন বলিয়া লোকে তাহীকে সিদ্ধ পুরুষ বলিত । সঙ্গীতরচনা করিতে তাহাকে তিলাদ্ধও ভাবিতে হইত না । তিনি কখনও পরকে সস্তুষ্ট করিবার মানসে, বা যশস্বী হইবেন বলিয়া সঙ্গীত রচনা করিতেন না । তিনি যে অবলীলাক্রমে সঙ্গীত রচনা করিতে পারিতেন, তাহার প্রমাণ স্বরূপ দুই একটি ঘটনা উদ্ধত হহল । কোন সময়ে রথ যাত্র। উপলক্ষে রাজা নবকৃষ্ণ রামপ্রসাদের সহিত বেড়াইতে বেড়াইতে তাহাকে রথ সম্বন্ধে গান শুনাহতে আদেশ করিলেন। রামপ্রসাদ তখনি গাইলেন, “কালী কালা বল রসনারে । ঐ ফটুচক্র রথ মধ্যে শ্যামা ম৷ মোর বিরাজ করে।” ইত্যাদি আর একদিন মহারাজা নবঞ্চষঃ দোলযাত্রা উপলক্ষে প্রসাদকে গান করতে বলিলেন । প্রসাদ গাহিলেন, “হৃদূ-কমল-মঞ্চে দোলে কপাল বদনা শ্যাম । মন পবনে দোলাইছে দিবস রজনী ওমা ॥” কোন সময়ে রামপ্রসাদ চড়ক দেখতে গয় ভাবে বিভোর হইয়া গৃছিলেন, ওয়র মন চড়কা চড়ক কল্প এ খোঁর সংসারে ॥