পাতা:বিদ্যাসুন্দর-রামপ্রসাদ সেন.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\> কবিরঞ্জন রামপ্রসাদের কবিরঞ্জন সঙ্গীতে বড়ই ভক্ত ছিলেন। বিদ্যাসুন্দরে যেস্থলে শবসাধনার বর্ণনা করেন, সেস্থলে তিনি আপনার ভাবে মাপনি মুগ্ধ হইয়া নিজের সঙ্গীতপ্রিয়তার পরিচয় দিয়া বলিয়াছেন, -ং “গ্রন্থ যাবে গড়াগড়ি গানে ইব মত্ত্ব।” স্বধু যে প্রসাদ সঙ্গীত রচনা করিতেন, তাহা নহে। তিনি নিজ রচিত সঙ্গীতগুলি অতি সুন্দর করিয়া-গাহিতেন। তাহার কণ্ঠস্বর তত মিষ্ট ছিল না সত্য । কিন্তু নিজ রচিত গানগুলি গাহিয়৷ পাষাণকেও দ্রব করিতে পারিতেন। বিশেষতর তাহার “প্রসাদী সুর” এত সহজ ও এত হৃদয়ভেদী যে, তাহাতে লোকে সহজেই মোহিত হয়, অথচ যে অীদে। সঙ্গীত জানে ন, সেও তাঁহ গাহিতে পারে । অতি অল্প বয়সেই রামপ্রসাদ এই স্বর স্বষ্টি করিয়াছিলেন । ইহার দ্বারাই তাহার ভাবু কতার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । রামপ্রসাদ যে বলিয়াছিলেন, “ম বিদ্যা সঙ্গীত পর” তাহা যথার্থ বটে । তাহার নিকট কাৰ্যও সঙ্গীত অপেক্ষা নিকৃষ্ট, এই জন্যই তাহার বিদ্যামুন্দর অপেক্ষ সঙ্গীত এত উৎকৃষ্ট হইয়াছে। কবিরঞ্জনের গানের মোহিনী শক্তি সম্বন্ধে এইরূপ গল্প আছে যে, তিনি একদা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সহিত মুরসিদীবাদে বেড়াইতে গিয়াছিলেন। সেখানে তিনি নৌকায় গঙ্গ+ বক্ষে বিচরণ করিতে করিতে এক মনে গান গাহিতে ছিলেন। ঘটনাক্রমে পাষণ্ড সিরাজ সেই সময়ে জলবিহারে বহির্গত হইয়াছিলেন । তিনি রামপ্রসাদের গান শুনিয়া একেবারে মোহিত হইলেন, এবং তা হাঁকে নিজ নৌকায় ডাকাইয়৷ অনিয়া গান করিতে বলেন। রামপ্রসাদ প্রথমে হিন্দী গান গাহিলেন । নবাব তাহাতে সন্তুষ্ট ন হইয়া বলিলেন, “না ও গান নয়, ঐ নৌকায় যে গান গাহিতেছিলে, সেই গান গাও ” তখন রামপ্রসাদ প্রসাদী সুরে গান ধরিলেন। নিষ্ঠ র, বিধৰ্ম্মী, মুখ সিরা: জের মন একেবারে বিগলিত হইয়া গেল ।