পাতা:বিদ্যুৎ-তত্ত্ব শিক্ষক.djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যুৎ-তত্ত্ব শিক্ষক Rసెby মত সম্ভাবন প্রণালীতে ( ৫ম পরিচয় ) বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে ইথারের মধ্যে তরঙ্গ স্বল্প হয় এবং রিসিভিং ষ্টেশনে উপযুক্ত যন্ত্রের সাহায্যে ইথারের ঐ তরঙ্গকে পুনরায় বৈদ্যুত্তিক শক্তিতে পরিণত করির সঙ্কেতাদি বুঝা হয় সুতরাং সেণ্ডিং ষ্টেশন হইতে রিসিভিং ষ্টেশন পৰ্য্যন্ত কোন তারের প্রয়োজন হয় না । , যে অবলম্বনটির সাহায্যে বৈদ্যুতিক শক্তিকে ইথারের তরঙ্গে পরিণত করা হয় তাহাকে ট্রান্সমিটার, এবং যাহার দ্বারা ইথারের ঐ তরঙ্গ সমূহকে পুনরায় বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত করা হয় তাহাকে রিসিভার বলে । সরকারী আইন অমুযায়ী ট্যান্সমিটার সকলে বাবগর করিতে পারেন না, পোষ্ট অফিস হইতে লাইসেন্স লইলে রিসিভার ব্যবহার করিতে পারেন। লাইসেন্সের মূল্য বাৎসরিক দশ টাকা। এই রিসিভারের প্রণালী নিম্নে বর্ণিত হইল । সম্ভাবনের পরিচয়ে দৃষ্ট হইয়াছে একটি বিস্থাদ্ধান বস্তুর দ্বারা অপর একটি (ভূসংলগ্ন) পরিচালকে বৈদ্যুতিক শক্তি সম্ভাবিত হয় এবং বস্তুদ্বয় সন্নিহিত হইলে সম্ভাবিত শক্তির অধিক্য হেতু উৎ যন্ত্র দ্বারা দৃষ্ট হয় । বেতার বাৰ্ত্ত প্রেরণের যে বৈদুতিক শক্তি তাহা প্রেরণগৃহ ( Transmitting Station ) oce একটি তারে প্রেরিত হয় । সেই তারটি জমি হইতে প্রায় ১nul১৫o ফিট উচ্চে স্থাপিত থাকে যাহা৩ে ইহার প্রেরণ কার্য্যের ব্যাঘাৎ না ঘটে। এই তারটা যখন বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা উত্তেজিত ৩য় অর্থাৎ বৈছাতিক অবস্থা প্রাপ্ত হয় তখন উহ। যে কোন অপর পরিচালক বা কণ্ডাক্টরে বৈদ্যুতিক উত্তেজন স্বষ্টি করে অর্থাৎ সস্তাবন দ্বারা বৈদ্যুতিক শক্তি স্থষ্টি করে । এই শেষোক্ত ( সপ্তাবিত ) শক্তি যদি সাবধানে বেতার গ্রহণ যন্ত্ৰে ( Receivor ) লইয়া আসা যায়, আর সেই যন্ত্র যদি যথোপযুক্ত শক্তি সম্পন্ন হয় এবং প্রেরক যন্থের সহিত মিল (in tune) থাকে তবে প্রেরণযন্ত্রের স্পন্দন গ্রহণ-যন্ত্রে অনুভূত হইবে । ইহাই বেণ্ডারের প্রণালী । যে শব্দ বিস্তার ( Broad cat ) করিতে হইবে তাই প্রেরণ গৃহে মাইক্রোফোন টান্সমিটারেন্থ সন্মুগে উচ্চারিত করিতে হয় । নানা প্রকার শব্দ মাইক্রোফোনের গাত্রে নান। প্রকার ধাক্কা মারে ও ঐ ধাক্কাগুরি নানা প্রকার অর্থাৎ স্পন্দনশীল ( Pulsating ) বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত হয় । প্রেরক তারটিতে পূৰ্ব্ব হইতেই একভাবে স্পন্দনশীল প্রবাহ বহিতে থাকে এবং তা হার সহিত উপরোক্ত স্পন্দনশীল প্রবাহ যোজিত হয় । ইহাতে প্রেরক তারে যে এক ভাবের স্পন্দনশীল প্রবাহ বহিতেছিল তাহার স্পন্দনের বৈষম্য ঘটে। এই বৈষম্য গ্ৰহণ তীরে ও তৎপরে গ্রহণ যন্ত্রে লক্ষিত হয় । ইহাই বেভার বাৰ্ত্ত । - বেভার বাৰ্ত্ত; গ্রহণ করিতে হইলে প্রেরণ যন্ত্রের সঙ্গে গ্রহণ যন্ত্রের স্পন্দন এক হওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রেরণ যন্ত্রে একটি স্পন্দনে য টুকু সময় লাগে গ্রহণ যন্ত্রেও ঠিক সেই সমধের মধ্যে যেন একটি বৈদ্যুতিক উত্তেজনা উৎপন্ন হইয়া ভূমিতে যায় । গ্রহণ যন্ত্রে প্রথমতঃ ভেরিয়েবল ইণ্ডাক্টান্সের পাকসংখ্যার হ্রাস বৃদ্ধি দ্বারা ও তৎপরে কণ্ডেনসারের কেপাসিটি হ্রাস বৃদ্ধি দ্বারা এই কাৰ্য্য সাধিত হয় । বেভার বাৰ্ত্ত গ্রহণে প্রধানতঃ তিনটি জিনিষ প্রয়োজন,—(১) শুম্ভস্থ তার (Aerial ). (*) o-sto oth (i.earthed wire) got ( → ) orga o (Receiver) ১ । গ্রহণ তার—ইহাকে ভূমি হইতে যথাসম্ভব উদ্বে রাখিতে হয় । সাধারণতঃ