পাতা:বিদ্যুৎ-তত্ত্ব শিক্ষক.djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । ভারতে বিদ্যুতের ব্যবহার ও কাৰ্য্যাবলী কিছু নুতন অথবা বিষ্ময়াত্মক "বিষয় নহে। বিদ্যুৎ সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান চর্চ পৌরাণিক কাল হইতেই ভারতের নিজস্ব ব্যাপার বলিয়াই, প্রকাশ আছে। পৌরাণিক যুগে বৃত্ৰাস্থর সংহারের নিমিত্ত দধিচী মুনির অস্থি ও চৰ্ম্মসার লব্ধ বুদ্ধি, বিদ্যা ও জ্ঞান লইয়া বজের ব্যবহার করিতে ইন্দ্র প্রভৃতি স্বরের শিক্ষা লাভ করিয়াছিলেন। “এ জীর্ণ পঞ্জর অস্থি পঞ্চভূতে ছার না হ’য়ে অমরোদ্ধারে নিয়োজিত আজি ।”—“হেমচন্দ্র' রাম রাবণের যুদ্ধের সময়েও অস্বরগণের মধ্যে রাবণের পুত্র মেঘনাদকে মেঘের আড়ালে থাকিয়৷ বিদ্যুতাস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রভৃতি ব্যবহার করিতে শুনা যায় । তখনও তাহার বায়ুনান ( Aeroplane) প্রভূতি মোটর চালাইতেন । সূৰ্য্য ও স্বৰ্য্যের অধস্থানীয় রাজার চৌদ্দ ঘোটক যুক্ত রথ অর্থাৎ ১৪ হর্ষ পাওয়ার যুক্ত মোটরের ব্যবহার করিতেন। বর্তমানকালে দেখা যায় যে নুনাবিক ঐ চোঁদ হর্ষ-পাওয়ার মোটর গাড়ী সচরাচর সাধারণ কায্যের উপযোগী । ভারতবাসীর চিরদিনই ইতিহাসকে অগ্ৰাহ ' করিয়া সমস্ত প্রকৃত তথ্য ওঁ ঘটনাবলী রূপান্তর করির কবির ভাষায় শ্রুতি মধুর করিয়া প্রকাশ করিতে প্রয়াসী-ছিলেন। তাছাতেই আমাদের ঘুেশের অনেক সত্য ঘটনা রূপান্তর হইয়া গল্পের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঐ সকল সত্য ঘটনা গল্পের মধ্যে নিহিত থাকিয়াও কালের গতিকে সময়ে সময়ে প্রতিভাত হইয়া আমাদিগের চক্ষু ফুটাইয়া দিতেছে । ভগবানের ইহাই অবিচিন্ত লীলা ও খেলা, জগতে সময়ে সময়ে আকষ্মিক ঘটনারদেশ সকল উৎসন্ন হয় এবং তজ্জন্য অতীতের ঘটনাগুলি স্মৃতিতে পর্য্যবসিত হইয়। কেবলমাত্র আবছায় হইয়া রূপ কথায় झुम्न ७ অজ্ঞানের সন্দেহ উৎপাদন করে । বিদ্যুৎ যে কি ব্যাপার তাগ বৰ্ত্তমানকালে এখনও সম্যকৃরূপে পরিস্ফুট হয় নাই, তবে উহার দ্বারা যে মানবের অসংখ্য কাৰ্য্য সাধিত হইতে পারে। এই কথা দিন যতই অগ্রসর হইতেছে ততই সম্যকৃরূপে পুনরায় উপলব্ধি