পাতা:বিদ্রোহী প্রাচ্য.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ga YR) প্রভাবের সাহিত্যও গড়িয়া উঠিতেছে। শ্যামীয়গণ নিজেদের বলে “থাই’ (অর্থাৎ স্বাধীন) এবং তাহদের ভাষাকে বলে ‘ফাষা থাই’-( অর্থাৎ স্বাধীনের ভাষা ; সংস্কৃত “ভাষা” শব্দের শ্যামীয় অপভ্ৰংশ “ফাষা” ) । বৰ্ত্তমানে শ্যামদেশের বিস্তৃতি ২ লক্ষ বর্গ মাইল। আমাদের বাংলাদেশের ( ত্রিপুরা ও কোচবিহার রাজ্য সহিত) বিস্তৃতি চ-২২৭৭ বৰ্গ মাইল । অর্থাৎ বাংলা দেশের ডবলের চেয়েও “শু্যামদেশ বড়। কিন্তু লোকসংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক কম-বাংলার লোকসংখ্যা ৪ কোটি ৭০ লক্ষ এবং শু্যামদেশের লোকসংখ্যা প্ৰায় ১ কোটি বা কিছু কম। শ্যামীয়গণ তাহাদের দেশকে ‘মুসঙ্গ থাই’-স্বাধীনের দেশ বলে। অতি প্ৰাচীনকাল হইতেই শ্যাম তাহার স্বাধীনতা রক্ষা করিয়া, নিজের নামের মাথকতা প্ৰতিপন্ন করিয়াছে। এসিয়াতে শ্যামদেশের মত বা তার চেয়েও ছোট আর তিনটি রাজ্য ছিল,-বেলুচিস্থান ইংরাজরা হজম করিয়াছে ; কোরিয়াকে হজম করিয়াছে জাপান, আফগানিস্থান তাহার স্বাধীনতা রক্ষা করিতে পারিয়াছে-প্ৰধানতঃ ইংরাজ ও রুষের পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষের জন্য। শ্যামের স্বাধীনতাও যে আজ পৰ্য্যন্ত আছে, তাহাও ইংরাজ ও ফরাসীর পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষের জন্য। পারশ্য, চীন, তুরস্ক ও কতকটা এই কারণেই আজও পাশ্চাত্য জাতিসমূহের রাক্ষসী ক্ষুধার আগুণে হজম হয় নাই। পূর্ব হইতে ফরাসী ও পশ্চিম হইতে ইংরাজ, একের পর এক রাজ্য জয় করিয়া শু্যাম দেশের