পাতা:বিধবার ছেলে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্কুল, খেতে দেরি সয় না !” এইরূপে গ্রামে মেয়ে স্কুলের নাম বাহির হইয়া পড়িল ; দেখিতে দেখিতে মেয়ের সংখ্যা বাড়িয়া যাইতে লাগিল। কিছুদিনের মধ্যে মহেশকে একবার কলিকাতায় যাইতে হইল। সেখানে গিয়া একজন পরিচিত ভদ্রলোককে ধরিয়া মেয়ে স্কুলের জন্য চান্দা তুলি লাগিলেন। এই উপলক্ষে একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। তিনি অনেক দিন পরে মহেশকে দেখিয়া আনন্দিত হইলেন ; যেন তাহাকে প্ৰেমালিঙ্গনের মধ্যে লইলেন । সে কি কাজে ব্যস্ত আছে তাহা জানিতে পারিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় অতিশয় আনন্দিত হইলেন ; বলিলেন- “সে কি, তুমি একটা ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের গ্রামে মেয়ে স্কুল গড়ে তুলেছ! খুব ভাল।” এই বলিয়া স্কুলের সাহায্যের জন্য নিজে এককালীন বিশ টাকা দিলেন, এবং মাসিক চারি টাকা দিতে প্ৰতিশ্রুত হইলেন। এতদ্ভিন্ন স্কুলের জন্য গবৰ্ণমেণ্ট সাহায্য পাওয়া যায় কি না দেখিবেন। दक्षिब्लिन । কলিকাতা হইতে প্ৰায় তিনশত টাকা সংগ্ৰহ করিয়া মহেশ গ্রামে ফিরিলেন। ফিরিয়া মেয়ে স্কুলের বেঞ্চ, টুল, চেয়ার প্রভৃতি প্ৰস্তুত করিবার জন্য লোক লাগাইলেন। ব্ৰজনাথ দত্ত মহাশয় তাহার উৎসাহ দেখিয়া পুলকিত হইলেন। একদিন বলিলেন-“মহেশ, বই রাখিবার জন্য আলমারি আর তৈয়ার করতে হবে না ; আমার একটা পুরাতন আলমারি আছে, তাহাতে কতকগুলো পুরান বই ও ছোড়া কাগজ পড়ে আছে, আলমারিটা তেমন কাজে লাগচে না, সেটা তোমাদের BD BDB DBDB BB S DBDBD DBB DBDB DBD BD D DDi স্কুল ঘরে রাখব, তাহলে পণ্ডিত মশাই সময় দেখে কাজ করতে পারবেন।” মহেশ তাঁহাকে অন্তরের সহিত ধন্যবাদ করিলেন। ক্রমে চেয়ার, বেঞ্চ প্রভৃতি . প্ৰস্তুত হইয়া স্কুলটি চণ্ডীমণ্ডপ হইতে পাশের দুই ।