পাতা:বিধবার ছেলে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 বিধবার ছেলে। । মহেশ যে আশা করিয়া নৌযাত্ৰা করিয়াছিলেন তাহ পূর্ণ হইতে লাগিল। পতিবিয়োগের পর হইতে জগন্ধাত্রীদেবীর মুখে বিবাদের ছায়া পড়িয়াছিল ; কেহ তাহাকে প্ৰায় হাসিতে দেখিত না । মহেশ এই আশা করিয়া নৌকাতে বাহির হইয়াছিলেন, যে, প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া, ধৰ্ম্মসাধনের অবসর পাইয়া, এবং নিরুপদ্রবে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বাস করিয়া, জননীর মনের বিষাদ কিয়ং পরিমাণে দূর হইতে পারে ; তাহাঁই ঘটিল। নৌকাতে যাত্রা করার দুই চারিদিনের মধ্যেই চারিদিকের সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া, এবং প্রিয়জনদিগকে সর্বদা কাছে পাইয়া, জগদ্ধাত্রী দেবীর বিষাদের ছায়া যেন কিয়ৎপরিমাণে অন্তহিত হইতে লাগিল। তিনি খুকীকে বুকে লইয়া নাচাইতে ও আদর করিতে লাগিলেন; নিজের কোলে বসাইয়া, নিজের হাতে খাওয়াইতে লাগিলেন ; এবং সন্ধ্যার পর, নিদ্রার সময় পৰ্য্যন্ত ক্ষীরদ ও নিস্তারিণীর সহিত নানাপ্রকার গল্প করিতে লাগিলেন। রাত্ৰে শয়ন করিয়া জলের কুলু কুলু ধ্বনি শুনিয়া হাসিয়া কৃপাকে বলেন- “শোন, শোন, নদী খল খল করে হাসচে!” দিনের বেলায় গঙ্গা-জলের মৃদুমন্দ গতি দেখিয়া পুলকিত হন ; দেখিবার মত কিছু একটা দেখিলেই সকলকে ভাকিয়া দেখান ; দুই পার্থের বৃক্ষরাজির প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া বলেন“আঃ, চোক যেন জুড়িয়ে গেল৷ ” ইত্যাদি ইত্যাদি। বলাবাহুল্য যে এই পরিবর্তন দেখিয়া মহেশের মন আনন্দে নৃত্য কয়িতে লাগিল ; তিনি মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন-“ভাগ্যে নৌকা করে বাহির কক্ষণ থাকিয়া , তাকার ধ্যান ধারণা