পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵcਫ YaoGoS উঠানে পায়চারি করিতে করিতে গৰ্জাইতে লাগিল-আমি দিব্যি মানিনে ! ও: ভারি দিব্যি ! ও কে যে দিব্যি দেয় ? ও কি আমার আপনার দাদা ? ও কেউ নয়, ওর কথা আমি মানিনে। আমি কি ওকে মেরেচি ? বুড়ী ডাইনীকে মেরেছি! ও তা শুধু বৌদিকে লেগেছে, তবে ওরা কেন দিব্যি দিতে আসে । এ সকল কথার কেহই জবাব দিল না। খানিক পরে সে সুর বদলাইয়া বলিতে লাগিল-বেশ তা! ভালই তা! না-ই কথা কইলে, DOSDD DBB BBSS BD DKS DBB DBBDBYSDBBS DDDS DBD ভাল তরকারি, মাছ-একলা বেশ পেট ভ’রে খাব। আমার কি হবে ? এ কথারও কেহ জবাব দিল না। তখন সে রান্নাঘরে ঢুকিয়া খন খন ঝন ঝন শব্দে থালা, ঘটি, বাটি নাড়িয়া-চাড়িয়া কাজ করিতে লাগিল। হাক-ডাক করিয়া ভোলাকে চাল ডাল ধুইয়া আনিতে, তরকারি কুটিতে আদেশ দিল। সমস্ত নেত্য রান্নাঘরে রাখিয়া গিয়াছিল। ভোলাকে হুকুম করিল, তুই আমার চাকর, ও বাড়ী যান্সনে। ও বাড়ীর কেউ যদি এদিকে আসে, তার পা ভেঙে দিবি-বুঝলি ভোলা, নেত্য আসুক একবার। এদিকে । নারায়ণী রান্না-ঘরের বারান্দায় চুপ করি যা বসিয়া শুনিতে লাগিলেন। দিগম্বরী কৌতুহলী হইয়া মাঝে মাঝে বেড়ার ফাক দিয়া দেখিতেছিলেন। খানিক পরে বড় মেয়ের কাছে উঠিয়া আসিয়া হাসি চাপিয়া ফিস-ফিস করিয়া বলিতে লাগিলেন, আহা বাছার কি বুদ্ধি। উনি আবার ভাল তরকারি রোধে খাবেন। একটা পেতলের হাড়িতে প্ৰায় এক কাঠা চাল গলায় গলায় তুলে দিয়ে রান্না চড়িয়েচে-তাতে জল দিয়েচে এক ফোটা। একজন খাবে ত, রাধাচে দশজনের। তাই বা সেদ্ধ হবে কি ক’রে ?