পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*--es দুল্লামোৱ সুমভি করিয়া ব্যাপার দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন। কর্কশ-স্বরে প্রশ্ন করিলেন, তোর না জর নারাণি ? তুই না তিন দিন খাস নি ? ভোর-বেলা উঠে চান ক’রে এসে এ সব কি হ’চ্চে, জিজ্ঞেস করি ? নারায়ণী স্বাভাবিক মৃদুকণ্ঠে বলিলেন, রাধাচি, দেখতে তা পাচ্চ । তা ত পাচ্চি, কিন্তু কেন ? কেন শুনি ? তুই কি আমার হাতে খাবি নি ? নারায়ণী জবাব দিলেন না, কাজ করিতে লাগিলেন। কাল সমস্ত দিন ধরিয়া রােম এই কথা ভাবিতেছিল-বৌদিদির না জানি কত লাগি যাছে ! একটা কঁচা পিষার লইয়া বার বার কপালের উপর ঠিফিয়া সে আঘাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করিবার চেষ্টা করিয়া, শেষে ভাবিতে বসিয়াছিল, কি করিলে এই কুকৰ্ম্মটা মুছিয়া ফেলিতে পারা যায়। ভাবিতে ভাবিতে তাহার মনে পড়িয়া গেল, কিছুদিন পূর্বে বৌদি তাহাকে এইস্থানে থাকিতে নিষেধ করিয়াছিলেন । শেষে স্থির করিল, সে আর কোথাও গেলে, বৌদি খুশী হইবে। তাঙ্গার মামার বাড়ী তারকেশ্বরের ওদিকে, অথচ কোথায়, সে ঠিক জানে না। সেইখানে গিয়া খুজিয়া লাইবে, সঙ্কল্প করিয়া সে একটি ছোট পুটলি বাধিয়া লইয়া প্ৰভাতের প্ৰত্যাশায় অপেক্ষা করিয়া বসিয়া রহিল । নারায়ণী রান্না শেষ করিয়া একখানি থালায় সমস্ত দ্রব্য পরিপাটি করিয়া সাজাইতেছিলেন। দ্বারের কাছে ভোলা আসিয়া उठांकिन, भi! নারায়ণী ফিরিয়া ভোলাকে দেখিয়া বলিলেন, কি রে ভোলা ? এ কয়টা দিন, সে বাহিরে গরুর সেবা করিত বটে, কিন্তু রামের ভয়ে ভিতরে আসিত না। ভোলা আস্তে আন্তে বলিল, চুপি চুপি একটা কথা আছে মা !