পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ficēts \ogo বিন্দু তৎক্ষণাৎ পা ছাড়িয়া উঠিয়া বসিয়া বলিল, পায়ে ধরা অভ্যাস আমার নয়। এখন দেখছি, কেন সে রাত্রে তিনি জলস্পর্শ করেন নি, অথচ তুমি সমস্ত জেনে-শুনে শত্রুর মত চুপ ক’রে রইলে ? আমার অপরাধ বেড়ে গেল, তুমি কথা কইলে না ? মাধব কাগজপত্ৰে মনোনিবেশ করিয়া কহিল, না। ও বিদ্যে আমার দাদার কাছে শেখা। ঈশ্বর করুন যেন এমনি চুপ ক’রে থেকেই একদিন যেতে পারি । বিন্দু আর কথা কহিল না। উঠিয়া গিয়া নিজের ঘরে দেব দিয়া পডিয়া রহিল। মাধব তখন উঠিবার উপক্ৰম করিতেছিল, বিন্দু আবার আসিয়া ঘরে ঢুকিল। তাহার দুই চোখ রাঙা । মাধবের দয়া হইল, বলিল, যাও একবার তঁর কাছে। জান ত তাকে, একবারটী গিয়ে শুধু দাড়াও, তা হলেই সব হবে। বিন্দু অত্যন্ত করুণ কণ্ঠে বলিল, তুমি যাও—ওগো, আমি ছেলের দিব্যি কচি মাধব তাহার মনের ভাব বুঝিয়া কিছু উষ্ণ হইয়াই জবাব দিল, হাজার দিব্যি কবুলেও আমি দাদাকে বলতে পাবুব না! তিনি নিজে জিজ্ঞেসা না। কবুলে গিয়ে বলব, এত সাহস আমার গলা কেটে ফেললেও হবে না। বিন্দু তথাপি নড়িল না। মাধব কহিল, পাবুবে না যেতে ? বিন্দু জবাব দিল না, হেঁট মুখে ধীরে ধীরে চলিয়া গেল।