পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেয়েটি বলিল-জানিনে । বিপিন আর এক কলসী জল আনিতে গেল। জেয়ালার বিস্তৃত বিলের উপর সুৰ্য্যাস্তের ঘন ছায়া নামিয়া আসিয়াছে। দক্ষিণ পাড়ের তাল গাছের মাথায় এখনও রাঙা রোদ । দূর জলে পদ্মফুলের বনে পদ্মপাতা উলটিয়া আছে, যদিও এখন পদ্মফুল চোখে পড়ে না। বল্লভপুরের দিকে জেলেরা ডিঙি বাহিয়া মাছ ধরিতেছে । একদল জলপিপি ও পানকৌড়ি জলের ধারে শোলাগাছের বনে গুগলি খুজিতেছে। বিপিনের মনে কেমন এক অদ্ভুত ভাবের উদয় হইল। যদি বিশ্বেশ্বর ইহাকে ফেলিয়া পলাইয়া থাকে, তবে তাহাকে থাকিতে হইবে এখানে সারাবাত। অর্থ উপাৰ্জন করিলেই কি হয় ? তাহার বাবা ৬/বিনোদ চাটুয্যে কম পয়সা উপাৰ্জন করেন নাই-অসৎ উপায়ে উপাজ্জিত পয়সা বলিয়াই টেকে নাই । কাহারও কোন উপকার হয় नश् िउांश् निक्ष} ঘবে রোগীব গঁথ্য কিছু নাই। ডাব ছানার জল খাওয়ানো দরকার এরকম রোগীকে । কিছুই ব্যবস্থা নাই । বিপিন নিকটবৰ্ত্তী দুলেপাড়া হইতে একটি লোক ডাকিয়া আনিল । বলিল-গোটাকতক ডাব নিয়ে আসতে পারবে ? দাম দেবো । লোকটা বলিল-বাবু, আপনাকে আমি চিনি। আপনি পিপলিপাড়ার ডাক্তারবাবু। দাম আপনাকে দিতে হবে না। তবে বাবু, ডাব রাত্তিরে পাড়া যাবে না তো ? তা আপনি কেন-সো বামুন ঠাকুর কোথায় গেল ? দেখুন তো বাবু, মেয়েডারে টুইয়ে ঘরের বার করে নিয়ে এসে * তিনি এখন পালালেন নাকি ? এইডে কি ভদরনোকের কাজ ? একপ্রচুর রাত্রে বিশ্বেশ্বর আসিয়া হাজির হইল। সে ফেলিয়া পালায় নাই-চিংড়িঘাটার বাজার হইতে কিছু ফল, খৈল ও সাবু মিছারী কিনিতে গিয়াছিল। বিপিনকে দেখিয়া বলিল-আপনি এসেছেন ? বড় কষ্ট 5 ܓܶ