পাতা:বিপিনের সংসার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই কুমড়া কলিকাতায় চালান দিয়া সেবার প্রায় ত্ৰিশ বত্ৰিশ টাকা লাভ করিল। বিপিনকে বলিল, দাদা বাগদী-পাড়ায় নন্দ বাগদীর গোলাটা কিনে আনিছি, এবার ধান রাখবার জায়গা চাই, ধান হবে ভাল । বিপিন বলিল, নন্দ বাগদীর অত বড় গোলা এনে কি করব, আমাদের তিন বিঘে জমির ধান এমন কি হবে যে, যার জন্যে অত বড় গোলার দরকার। দামও তো বেশি চাইবে । বলাই বলিয়াছিল, বারণ ক’র না। দাদা । বড় গোলাটা বাড়ি থাকলে লক্ষ্মীশ্ৰী । আমার ওই গোলা দেখলে কাজে উৎসাহ হবে যে, ওটা পুরিয়ে দিতেই হবে আসছে বছর । ওটাই আনি, কি বল দাদা ? সংসারের জন্য অনিয়মিত খাটিয়া থাটিয়া বলাই পড়িয়া গেল শক্তি অসুখে । কিছুদিন দেশেই রাখিয়া চিকিৎসা চলিল। সে চিকিৎসাও এমন বিশেষ কিছু নয়, গ্ৰাম্য হোমিওপ্যাথিক দাক্তার শরৎ দা দিন পনরো সাদা শিশিতে কি ঔষধ দিতেন, তাহাতে কিছু না হওয়ায্য গ্রামের অনেকের পরামর্শে বলাইকে রাণাঘাটের হাসপাতালে আনা হয় । বলাই এখনও ছেলেমানুষ, তাহার উপর অনেকদিন রোগশয্যায় শুইয়া থাকিবার পরে আজ দাদার সঙ্গে বাড়ি ফিরিয়া যাইবার আনন্দে সে অধীর হইয়া উঠিয়াছে। রেলগাড়িতে উঠিয়া একবার এ জানালায় একবার ও জানালায় ছুটিাছুটি করিতেছে, কত কাল পরে আবার সে নীরোগ হইয়া মুক্ত স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করিতে পাইয়াছে। নাসের কথামত আর ভয়ে ভয়ে চলিতে হইবে না । হাসপাতালের রান্না কি DB DBDB BDS K S DDS DDLDBB DBSJDS DBDBBD DBJSDSDD রান্না আজ প্রায় চার মাস খায় নাই, বউদিদির হাতের সুক্ত নির তুলনা আছে ? পাচিলের পশ্চিম কোণে বড় মানকচুটা। সে নিজের হাতে পুতিয়াছিল৷ to