পাতা:বিপ্রতীপ - অবিনাশ রায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/ره বার বার কটকুট করে পলকাটা হীরের মত একটা একটী কবিতা বার করেন ; যথেষ্ট প্রলোভন ও ভয় দেখিয়েও তার পুরোনো কবিতার বেশী একটী কবিতাও লেখানো যায় নি তাকে দিয়ে । আর একজন বলেন—কবিতা লেখাটা কিছু নয়, যে কোন মুহূর্তে তুমি যা অনুভব করছ একটু পরিচ্ছন্ন ভাষায় তাকে সাজাতে পারলেই কবিতা । যে অনুভূতিই হোক না কেন, এখানে তার কোনো না কোনো সমজদার মিলবে এই এর বিশ্বাস । বিশ্বাস নেই মোটেই কোনো রকম আকাশযারা অনুপ্রেরণার অস্তিত্বে । ইনি আবার কোটেশনও লাগান—কবি কোন বিশেষ ধরণের মানুষ নয়, প্রত্যেক মানুষই একটা একটী বিশেষ ধরণের কবি । নানান ধীচের কবিতা জড়ো করা হয়েছে এই ক’পাতার মধ্যে— টঙ্কার বাড়ীর কেকের মত। কারুর না কারুর রুচিতে একটা না একট। লেগে যাবেই । যার কেনোকবিতাটাই ভাল লাগবে না তিনি হতভাগ্য । বাংল! দেশে হতভাগ্যের সংখ্যা কম নয় বলেই আমাদের ধারণা । অনুবাদ রইলো টে—স্বাধীন ভারতের অনুবাদ বলে ক্রীতদাসের ভঙ্গ নয় তাদের । মিল-ওলা কবিতা আছে গোট কয়, সনেটের পাচও দেখ নো হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ছাচে চালা গদ্যকবিতার দিন এখনও আছে আমরা মনে করি বলে ঐ জাতীয় কয়েকট। কবিতাও দেওয়া হল । এগুলোকে ছোট গল্পের লিরিক সংস্করণ বললে খুব অন্যয় করা হবে কি? আধুনিক বিদেশী কবিদের দু এক লাইনের তর্জমাও চুরি করে ঢুকিয়ে দিয়েছি কোন কোনো কবিতার মধ্যে। আমাদের কবিতরি সঙ্গে এরকম একাত্ম হয়ে গেছে তারা যে পণ্ডিত পাঠকও তাঁদের চিনতে পারবেন না আশঙ্কা করছি । দেশী কবিও যে তালে গোলে ঢুকে যাননি এমন কথা জোর করে বলতে পারি না । তবে সেগুলো সজ্ঞানে চুরি নয়। আর একটা কথা বলবার আছে। সমালোচকেরা বলতে পারেন— এতদিন বাদে আবার বস্তাপচা প্রেমের কবিতা কেন ? আমরা