পাতা:বিপ্রতীপ - অবিনাশ রায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• له বলব—এগুলো প্রেমের কবিতাই নয়, প্রেমের পরিহাসের কবিতা বরঞ্চ বলা যেতে পারে এদের। দৃষ্টিভঙ্গী এদের না-মূলক। প্রেমের কবিত লিখতে পারলে আমরা খুলীই হতুম—অবশু কমরেড মার্ক neurotic বা biological প্রেম নয়। প্রেম কোথায় আজ ? ভাবুকের জন্মগ্রহণ করা ছেড়েই দিয়েছে ; সাধারণ লোকের কথা আমরাই ছেড়ে দিলুম ; বাকী রইলেন যারা ঘটনার নিস্পেষণে মরীয়া হয়ে উঠলেও তার আজ আর বেপরোয়া হতে পারেননা ; বেহিসেবী হওয়া তো অসম্ভবই । প্রেম আসবে কোথা থেকে—প্রেমের মুখ ভেংচানী পর্যন্ত চলতে পারে কোন রকমে । কায়ার অভাবে ছায়াই সই। আর প্রেমের ছায়া দেখলেই ষে তাৎকে উঠতে হবে একথা আমরা স্বীকার করি না। রুটীর দরকার প্রথমেই একথা মানি, ওটাই যে শেষ দরকার এমন কথা এখনও মামতে পারছি না। বিবতনে বিশ্বাস রেখে ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে আছি । আমাদের ধারণা প্রেম আর প্রয়োজনের সমন্বয় হবে মানুষের জীবনে, মানুষের মধ্যেই হবে পশু আর দেবতার আপোষ । কবিতা হবে এই সমন্বয়ের রাসায়নিক, এই আপোষরফার বাতাবাহিক দূতী। দুঃখের বিষয় বাংলা দেশের আধুনিক কবিতা এদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পণ্ডদলের পঞ্চমবাহিনীর কাজ করাই ওর বেশী মনঃপূত । সে কাজটাও যদি ভাল করে করতে পারত ! হায়রে, বাংলা দেশের আজকের কবিতা ! আমাদের মনে হয় বাংলার অত্যাধুনিক কবিদের অনেকেই জীবনের অপর সব ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়ে ভাল কিছু করার না পেয়ে অগত্যা কবিতা লেখার পথ ধরেছেন । অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ক্ষমতা র্তাদের। সে ক্ষমতায় চলতি পথে প্রতিষ্ঠা লাভ করা অসম্ভব— একথা তারা বুঝতে পেরেছেন। আর সেই জন্যেই তারা বিশেষ উটকো উটকো বিষয় বস্তু, নিতান্ত অবাস্তব বাস্তব-ঘেসা ভাষা এবং ছন্দ, ভুলছন্দ ও ছন্দোহীনতায় কাব্য রচনা সুরু করেছেন। ঠিক এমনিটিই হয়েছিল চসারের পরে ইংরেজী সাহিত্যে। এদের এক