পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লালের বাবা বোম্বাই সহরে এক অফিসে কাজ করতেন। তাই কানাইলালের শৈশব বোম্বাইতেই কাটে। সেখানে আর্য হাই স্কুলে কানাইলাল পড়াশোনা করতেন। কানাইলাল মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তাঁর স্মরণশক্তি ছিল অসাধারণ। পড়ার বই তাঁকে খুব বেশি পড়তে দেখা যেত না। পরীক্ষার সময় তিনি পায়চারী করতে করতে একবার বা দুবার বইগুলি পড়ে যেতেন। তার ফলেই দেখা যেত তিনি প্রথম কি দ্বিতীয় হয়েছেন। শুধু ছেলেবয়সেই নয়, কলেজের পরীক্ষাতেও তাঁকে ঐভাবে পড়াশোনা করতে দেখা গেছে। যখন তিনি বি-এ পরীক্ষা দেন তখন বিপ্লবযজ্ঞে তিনি আত্মাহুতি দিয়েছেন। তবুও দেখা গেছে তিনি অতি সহজেই বি-এ পরীক্ষা পাশ করে গেছেন। অবশ্য গভর্ণমেণ্ট তাঁর ডিগ্রি কেড়ে নিয়েছিল। কথা যথাসময়ে বলা যাবে। কানাইলালের তীক্ষ্ণ মেধা ও বিরাট স্মৃতিশক্তি স্কুলের শিক্ষকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল এবং কানাইলাল অতি সহজেই তাঁদের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। শিক্ষকেরা তাঁকে অনেক বই স্বেচ্ছায় উপহার দিতেন এবং কানাইলাল পড়ার বই না পড়ে সেই সব বই খুব বেশি পড়তেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি নিজেকে এইভাবে গড়ে তুলেছিলেন।

 চার বৎসর বয়সে কানাইলাল চন্দননগর থেকে বোম্বাই যান। সেখানে পড়াশোনা করতে করতে তিনি একবার চন্দননগরে আসেন। তখন তাঁর বয়স নয় কি দশ বৎসর।

১৪